মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার আবারও বিদেশে নির্মিত চলচ্চিত্রের ওপর বড় অঙ্কের শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন। তার অভিযোগ, অন্যরা আমেরিকার চলচ্চিত্রশিল্পকে চুরি করে নিয়ে গেছে।
ওষুধ, আসবাব, ভারী ট্রাকসহ বিভিন্ন খাতে নতুন শুল্কের হুমকির কয়েকদিন পরই ট্রাম্প চলচ্চিত্র শিল্পের দিকে নজর ফেরালেন।
ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, অন্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা ‘শিশুর কাছ থেকে ক্যান্ডি চুরি’-এর মতো চুরি করেছে। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসমকে ‘দুর্বল ও অদক্ষ’ আখ্যা দেন এবং দাবি করেন, রাজ্যটি এতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ট্রাম্প লিখেছেন, “এই দীর্ঘদিনের, কখনো শেষ না হওয়া সমস্যার সমাধানে আমি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে নির্মিত সব চলচ্চিত্রের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করব।” তবে শুল্ক কখন বা কিভাবে কার্যকর হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য মে মাসে দেওয়া তার আগের হুমকির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। তখন তিনি বলেছিলেন, মার্কিন চলচ্চিত্রশিল্প ‘খুব দ্রুত মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে’ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়কে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এই শুল্ক চলচ্চিত্র শিল্পে কী প্রভাব ফেলবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ২৩ লাখের বেশি কর্মসংস্থান এবং ২৭৯ বিলিয়ন ডলারের বিক্রয় নিয়ে হলিউড যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রেখেছে।
তবে কোভিড মহামারির ধাক্কা এবং সাম্প্রতিক হলিউড ধর্মঘটের কারণে দর্শকদের অভ্যাস বদলে গেছে—অনেকে হলে না গিয়ে বাসায় বসে সিনেমা দেখাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ফলে শিল্পটি এখনো তার পুরোনো গতিতে ফিরতে সংগ্রাম করছে।
ট্রাম্পের পোস্টে বলা হয়নি, ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় ও লাভজনক টেলিভিশন সিরিজগুলোকেও এই শুল্কের আওতায় আনা হবে কি না।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ওষুধ, রান্নাঘরের ক্যাবিনেট, আসবাব ও ভারী ট্রাকের ওপর আলাদাভাবে ২৫ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। তার দাবি অনুযায়ী, এই শুল্ক বুধবার থেকেই কার্যকর হবে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন প্ল্যান্ট স্থাপন না করলে পেটেন্টকৃত ওষুধপণ্যে ১০০ শতাংশ কর বসবে। আসবাবের ওপর শুল্ক প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘চীন ও অন্যান্য দেশের কাছে নর্থ ক্যারোলাইনা পুরো আসবাব ব্যবসা হারিয়েছে।’


