রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবনে ড্রোন হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘অত্যন্ত ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তিনি বলেন, হামলাটি ঘটে খুবই সংবেদনশীল সময়ে।
সোমবার রাশিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় নভগোরোদ প্রদেশে পুতিনের সরকারি বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি বিস্ফোরকবাহী ড্রোন নিক্ষেপ করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সবগুলো ড্রোন আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
ল্যাভরভ ইউক্রেনকে হামলার জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি সংলাপে নিজেদের অবস্থান মস্কো পুনর্বিবেচনা করবে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, হামলা শান্তি সংলাপকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য রাশিয়া নিজেই চালিয়েছে।
হামলার সময় ট্রাম্প ফ্লোরিডার মার-আ-লাগো প্রাসাদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানান, পুতিন তাকে নিজেই হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, “এটি খুবই খারাপ হয়েছে, আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। খুবই সংবেদনশীল সময়ে হামলা ঘটেছে।”
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র প্রসঙ্গেও ট্রাম্প মন্তব্য করেন, “টমাহকের ব্যাপারটা ভুলবেন না। আমি টমাহক ব্যবহার থামিয়েছি। আমি এটা চাইনি।” এর আগে ইউক্রেন টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পেতে মার্কিন সরকারের কাছে আবেদন করেছিল, কিন্তু ট্রাম্প সাড়া দেননি।
হামলার পরপরই ক্রেমলিন থেকে হোয়াইট হাউসে যোগাযোগ করা হয়। ট্রাম্পকে হামলার খবর দেন পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। সাংবাদিকদের উশাকভ জানান, খবর শুনে ট্রাম্প ‘হতবাক’ হয়ে গিয়েছিলেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে বলেন, “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আমরা ইউক্রেনকে টমাহক দিইনি।”
