লাগাতার মিসাইল হানা কিমের, সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরতে নির্দেশ দঃ কোরিয়া, জাপানের

 পরপর মিসাইল ছুঁড়ছে উত্তর কোরিয়া (North Korea)। সেই জন্য সাধারণ মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের (Japan) সরকার। বুধবার লাগাতার মিসাইল উৎক্ষেপণের পর বৃহস্পতিবারও হামলা চালিয়ে যায় কিমের দেশ। কোনও দেশের সীমানার মধ্যে না ঢুকলেও উত্তর কোরিয়ার মিসাইলকে বেশ উদ্বিগ্ন এই দুই দেশ। উত্তর কোরিয়ার পালটা দিতেও ভালরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়া। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার মিসাইল উৎক্ষেপণ একেবারে মেনে নেওয়া যায় না।

সিওল লক্ষ্য বুধবার মোট দশটি মিসাইল ছুঁড়েছিল কিম জং উনের দেশ। তার মধ্যে একটি মিসাইল দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমার মধ্যে আছড়ে পড়ে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পালটা মিসাইল উৎক্ষেপণ করে দক্ষিণ কোরিয়াও (South Korea)। বৃহস্পতিবার সকালে ফের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে পিয়ংইয়ং। এই ঘটনার পরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, “বারবার উত্তর কোরিয়া মিসাইল হামলা চালাচ্ছে। এই হামলা অত্যন্ত আপত্তিজনক। উত্তর কোরিয়াকে ক্ষমা করা যায় না।” কিশিদা আরও বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে সম্ভবত একটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল ছিল। 

আমেরিকার সঙ্গে যৌথভাবে মিসাইলের মহড়া চালাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রতিবেশী দেশের লাগাতার মিসাইল উতক্ষেপণের মধ্যে তৈরি থাকার বার্তা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা। তাদের তরফে বলা হয়েছে, “সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি রয়েছি আমরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়ার পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার দিকে কড়া নজর রাখা উচিৎ। প্রসঙ্গত, বুধবার মিসাইল উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছিল উত্তর কোরিয়া। একদিনে সর্বাধিক ২৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার নজির গড়েছে কিম জং উনের দেশ।

বুধবার সকালে উত্তর কোরিয়ার (North Korea Missile Attack) দিক থেকে মিসাইল হামলা শুরু হয়। জাপান সাগরের মধ্যে দুই দেশের সীমানা অতিক্রম করে উড়ে আসে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমার প্রায় ষাট কিলোমিটার ভিতরে সমুদ্রের মধ্যে আছড়ে পড়ে একটি মিসাইল। তারপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সরকারের তরফে সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশিকা জারি করে বাসিন্দাদের নিরাপদ বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে বলা হয়।হামলার তিন ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে পালটা জবাব দেয় দক্ষিণ কোরিয়া।
  সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে

news