দাউদাউ করে জ্বলছে চিনের কারখানা, নিহত অন্তত ৩৬
চিনের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। নিহত কমপক্ষে ৩৬। দু’জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনাটি ঘটেছে হেনান প্রদেশের আনিয়াং শহরে। অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও খবর। অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, সোমবার কাইশিন্ডা ট্রেডিং কো লিমিটেড নামের একটি সংস্থার কারখানায় আগুন লাগে। ওই কারখানাটি হেনান প্রদেশের আনিয়াং শহরের ওয়েনফেং এলাকায় অবস্থিত। দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল বাহিনী। প্রায় ৬০টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতরা হাসপাতালে আছেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, অগ্নিকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে হেফাজতে নেওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, চিনে (China) এমন দুর্ঘটনা নতুন নয়। ২০১৯ সালে ইয়ানচেং শহরে রাসায়নিকের একটি কারখানায় ভয়াবয় বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় ৭৮ জনের। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই প্রচণ্ড ছিল যে কয়েক কিলোমিটার দূরের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ২০১৫ সালে তিয়ানজিন শহরে রাসায়নিকের একটি গুদামে হওয়া বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১৬৫ জন। পরপর এহেন অগ্নিকাণ্ড ঘটায় প্রশ্নের মুখে পড়ছে চিনের শিল্পনীতি। অভিযোগ, উৎপাদন বৃদ্ধির চাপে কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামায় না চিনা সংস্থাগুলি। এই ব্যাপারে উদাসীন প্রশাসনও।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টম্বর মাসে চিনের হুনান প্রদেশের একটি বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। হুনান প্রদেশের রাজধানী চাংশা শহরের ঘটনাটি ঘটে। বহুতলটিতে চিনের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থার দপ্তর রয়েছে। কিন্তু সেখানকার দমকল বাহিনীর সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ওই দপ্তরের আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। তবে ঠিক কী থেকে ওই অগ্নিকাণ্ড, তা স্পষ্ট করে জানায়নি প্রশাসন।
খবর সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২২/একে