‘মার্কিন সরকারের পরিকল্পনা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করেছিল’

রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, রাশিয়া এবং তার মিত্ররা রাশিয়ার ওপর হামলার প্রস্তুতি নিয়ে প্রায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। এ অবস্থায় রাশিয়ার সামনে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানো ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না।

রাজধানী মস্কোয় ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির নেতাদের এক বৈঠকে গতকাল (সোমবার) এসব কথা বলেছেন দিমিত্রি মেদভেদেভ।

বৈঠকে তিনি বলেন, “আমাদের দলের উচিত হবে সারা বিশ্বের লোকজনকে একথা বোঝানো যে, চলমান সামরিক অভিযান বাধ্য হয়ে চালাতে হয়েছে এবং মার্কিন সরকার ও তার মিত্র দেশগুলোর আগ্রাসনের প্রস্তুতির জবাবে রাশিয়ার হাতে এটিই ছিল সর্বশেষ ব্যবস্থা।”মেদভেদেভ বলেন, “এটি নিশ্চিত যে, তখন যা ঘটছিল তার কারণে বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিল।”

রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট আক্ষেপ করে বলেন, “যে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বৈশ্বিক দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তারা এখন দ্বন্দ্ব নিরসনের পরিবর্তে আমেরিকার যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

আমেরিকা এবং তার মিত্ররা জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থা ব্যবহার করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির জন্য যতদূর সম্ভব বেশি ভোট সংগ্রহের চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের কূটনীতির মূল মিশন থাকবে পশ্চিমাদের এই নিষ্ঠুর অবস্থান মোকাবেলা করা।”দিমিত্রি মেদভেদেভ ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সে সময় পশ্চিমারা তাকে উদারপন্থী নেতা হিসেবে গণ্য করতো। কিন্তু গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে অত্যন্ত শক্ত ভাষায় পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছেন এবং রাশিয়ার সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরছেন।

গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের দাভোস শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠক চলাকালীন মেদভেদেভ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, “পশ্চিমাদের মনে রাখা উচিত পরমাণু অস্ত্র থাকার অর্থ হচ্ছে তার ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২৩/একে

news