তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় কঠিন  পরিস্থিতি উপেক্ষা করে চলছে উদ্ধারকাজ

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় প্রচন্ড শীতসহ কঠিন পরিস্থিতি উপেক্ষা করে উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের সন্ধানে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সোমবার ভোরের প্রলয়ংকরি ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩০০ জন এবং আহত হয়েছে ১৫০০০।  এ ঘটনার পর তুরস্ক সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে।

সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে গাজিয়ানটেপে প্রথম ৭.৮ মাত্রার প্রলয়ংকরি ভূমিকম্প যখন আঘাত হানে তখন লোকজন ঘুমিয়ে  ছিল। একই দিন দুপুর দেড়টায় দ্বিতীয় দফা ভূমিকম্প আঘাত হানে। এটি কোন আফটার শক বা ভূকম্পন ছিল না। প্রথম ভূমিকম্পে কেবল তুরস্কে ২৯০০ জন নিহত ও ১৫০০০জন আহত হয় । আর সিরিয়ায় নিহত হয়েছে এক হাজার চারশ’রও বেশী মানুষ।

উভয় দেশে বিধ্বস্ত হাজার হাজার ভবনের ধবংসস্তুপের নীচে চাপা পড়া লোকদের উদ্ধার ও বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানানোর পর দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশ ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকার মানুষের জন্য ত্রাণ পাঠানো শুরু করেছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান সোমবারের টুইন ভূমিকম্পকে ১৯৩৯ সালের এরজিনকানে সংঘটিত ভূমিকম্পের পর “সবচাইতে ভয়াবহ ভূমিকম্প” বলে অভিহিত করেছেন। এরজিনকানের ভূমিকম্পে নিহত হয় ৩৩০০০ মানুষ।

তুরস্কের ডিজাস্টার এন্ড ইমার্জেন্সি অথরিটি(এএফএডি) সোমবার দিন শেষে দেয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৫৫০০ ভবন বিধ্বস্ত হয়। ধ¦ংসস্তুপের নীচ থেকে ৬৪০০ জনেরও বেশী লোককে উদ্ধার করা হয়েছে।

তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, তুরস্কের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ১৪৫টি ভূকম্পন সংঘটিত হয় যার মধ্যে তিনটি ছিল শক্তিশালী। যার মাত্রা ছিল ৬ এর উপরে। ডেইলি সাবাহ’র খবরে ভূকম্পনের সংৃখ্যা ১৮৫ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তুরস্কে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা

প্রলয়ংকরি ভূমিকম্প ও ১৮৫ ভূকম্পনের ঘটনার পর তুরস্ক সরকার ৭ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান এ কথা জানান। সোমবার এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট বলেন, সপ্তাহব্যাপী শোক দিবস পালনকালে তুরস্কের বাড়িতে ও সারা বিশ্বে তুর্কী দূতাবাসে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধ নমিত রাখা হবে।

এনবিএস/ওডে/সি

news