রাশিয়ার ওপর কানাডার বড় আকারের নিষেধাজ্ঞা

শুক্রবার ইউক্রেনে যুদ্ধের বর্ষপূর্তির দিনে এই নিষেধাজ্ঞা দিল কানাডা সরকার। একইসঙ্গে দেশটিকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে ট্রুডো প্রশাসন।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে অর্থনৈতিক, সামরিক সাহায্য, রাসায়নিক পদার্থসহ ইলেকট্রনিকস পণ্য সামগ্রী।  

এদিকে পোল্যান্ড থেকে ক্রয়কৃত ইউক্রেন বাহিনীকে আরও চারটি লিওপার্ড ২ ট্যাংক ও ৫ হাজার গোলাবারুদ সরবরাহের পাশাপাশি প্রশিক্ষকও পাঠাচ্ছে দেশটি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে কানাডা জানিয়েছিল তাদের কাছে ১১২ টি লিওপার্ড ট্যাংক রয়েছে যেগুলোর মধ্যে ৮২ টি যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য প্রস্তত রয়েছে।

অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে রাশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী, সরকারের বিভিন্ন সদস্য, সামরিক বাহিনী, সামরিক শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ, পুতিন প্রশাসনের  কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১২৯ জন রাশিয়ান ও ৬৩ টি আইনি সংস্থা। এছাড়াও সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি তৈরির সঙ্গে যুক্ত সকলেই এ আওতার অধীনে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের ওয়েব সাইটে দেখা যায়, রাশিয়ার বেশ কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, সরকারী সংস্থা, ইউনাইটেড রাশিয়ান পার্টি, প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রকল্প দপ্তর, ফেডারেশন কাউন্সিল, ইউনাইটেড মেশিনারি গ্রুপ, হকি খেলোয়াড়, স্টেট ডুমার ডেপুটি ত্রেতিয়াক, ভেলেন্তিনা তেরেসকোভা, সভেতলিনা সাভিতস্কায়া, নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যানের স্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ এসভেতলানা মেদভেদেভা, ও তার ছেলে ইলিয়া, উপ প্রধানমন্ত্রী তাতিয়ানা গোলিকভা ও পুতিনের সহকারী ম্যাক্সিম অরেসকিন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন।

ঘোষণাটি প্রকাশের পর কানাডায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত অলেগ স্টেপানভ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমাদের প্রতি কানাডা ও পশ্চিমা বিশ্বের এসব নিষেধাজ্ঞা কোনো অর্থবহন করেনা বরং তাদের নিজ দেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।  এসব নিষেধাজ্ঞা এটাই প্রমাণ করে তার রাশিয়ার কাছে অসহায়। তারা বুঝতে পেরেছে কোনোভাবেই আমাদেরকে পরাজিত করতে পারবেনা।

এনবিএস/ওডে/সি

news