চীন ও রাশিয়া একটি বহু মেরুকেন্দ্রীক বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

ক্রমবর্ধমান পশ্চিমা একাধিপত্যের মোকাবিলায় রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার পক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছে বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, চ্যালেঞ্জিং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে চীন-রাশিয়া সম্পর্ক এখন সময়ের পরীক্ষার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে।

চীনের প্রভাবশালী কূটনীতিক ও স্টেট কাউন্সিলর যখন রাশিয়া সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তখন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ বক্তব্য দিলেন।

তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক একটি কঠিন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। ওয়েবিন আরো বলেন, এই সম্পর্ক  ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার তীক্ষ্ণ উপলব্ধি থেকে উদ্ভূত প্রশান্তিতে আশীর্বাদপুষ্ট।

চীন ও রাশিয়া অনেক আগে থেকে বহুমেরুকেন্দ্রীক বিশ্বব্যবস্থার দাবি উত্থাপন করে আসলেও সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দু’টি এই বক্তব্যের ওপর বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে। বিশেষ করে ঠিক এক বছর আগে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে মস্কো ও বেইজিং বিশ্বকে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন এক মেরুকেন্দ্রীক বিশ্বব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ থেকে বের করে আনার পক্ষে জোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ সম্পর্কে বলেছেন, বেইজিং ও মস্কো নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করার পাশাপাশি একটি ‘বহু মেরুকেন্দ্রীক’ বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। ওয়েবিন বলেন, বহুমেরুকেন্দ্রীক বিশ্বব্যবস্থা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের চর্চা বাড়াবে। এছাড়া, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ পৃথিবীব্যাপী একটি দেশের একাধিপত্যের বিরোধী বলে, বহুমেরুকেন্দ্রীক বিশ্বব্যবস্থা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২/একে

news