ঢাকা, শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Logo
logo

সুদানে সংঘাতের সূচনা যেভাবে


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৬ মে, ২০২৩, ০৪:০৫ পিএম

সুদানে সংঘাতের সূচনা যেভাবে

সুদানে সংঘাতের সূচনা যেভাবে

এপ্রিল ভোর। সূর্য আলো ঝলমল করছে চারিদিক। আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর সবধরণের অস্ত্র সজ্জিত প্রায় ২০০০ সেনা দ্রুতগতিতে খার্তুমে সুদানের সশস্ত্র বাহিনীর (এসএএফ) সদরদপ্তরের দিকে ছুটে যায়। সদরদপ্তরের অভ্যন্তরে রয়েছে সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের বাসভবন। তিনি হলেন আরএসএফ প্রধান জেনারেল মোহাম্মাদ হামাদান দাগালোর চির প্রতিদ্বন্দ্বী। হঠাৎ জে: বুরহানের বাসভবন চালায় তারা।

সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সুদানি সূত্র আরএসএফ বাহিনী কাছাকাছি একটি বিমানবন্দর থেকে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে কিভাবে জেনারেল কমান্ড সদরদপ্তারে এসে হাজির হয় মিডল ইস্ট আই’র কাছে তার বিবরণ তুলে ধরেন।

তিন দিক থেকে আরএসএফ বাসভবনটির ওপর হামলা চালায়। তারা প্রেসিডেন্টের ৩৫ জন রক্ষীকে হত্যা করে। সুদানের কার্যত প্রেসিডেন্ট জে: বুরহান সে সময় বাসভবনেই ছিলেন। তিনি গ্রেপ্তারি বা তার চেয়েও খারাপ পরিণাম থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান। এ হামলাই সুদানে বুরহানের এসএ্এফ ও দাগালোর আরএসএফের মধ্যে সংঘাতের সূচনা করে। দাগালো হেমেতি নামে সুপরিচিত। বাসভবনে হামলার পরই হেমেতি বলেন, বুরহানকে গ্রেপ্তার অথবা ‘কুকুরের মতো হত্যা কর’।

বুরহানের একজন অনুগত কর্মকর্তা এমইইকে বলেন, এটি ছিল হেমেতি ও আরএসএফের অভ্যূত্থান ঘটানোর চেষ্টা।’ সুদান, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, মিসর ও অন্যান্য স্থানের বিভিন্ন সূত্র এমইই’র কাছে যুদ্ধের প্রথম কয়েক ঘন্টার চিত্র তুলে তুলেছে।

বুরহানের বাস ভবনে হামলা ছিল গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এরপর খার্তুম জেলার বিমানবন্দর এবং গোয়েন্দা দপ্তর ও হেমেতির বাসভবনসহ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভবনে হামলা ছড়িয়ে পড়ে।

আরএসএফ যোদ্ধার সংখ্যা ৮৫ হাজার থেকে ১ লাখ। তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং সহজে হামলা চালানোর ক্ষমতা তাদের রয়েছে। তাদের বিমান বাহিনীসহ বিভিন্ন ডিভিশন রয়েছে।

খার্তুমের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সোবাতে প্রথম গুলি চালানো হয়। এরপর স্পোর্টস সিটিতে। তবে সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সূত্র জোর দিয়ে বলছে যে, বিমানবন্দরে প্রথম লড়াই শুরু হয় এবং পরে তার জেনারেল কমান্ড সদরদপ্তারের দিকে ধাবিত হয়।

আরএসএফ খার্তম থেকে ৩০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে অবস্থিত  মেরোয়ি বিমান ঘাঁটি দখল করে নেয় এবং সেখানে মোতায়েন ২৭ জন মিসরীয় সেনাকে আটক করে।

এনবিএস/ওডে/সি