ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

যশোরের শার্শা-বেনাপোলে গৃস্মকালীর সবজির বাজারে ধ্বস: হতাশায় কৃষকরা

৩ থেকে ৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পটল, ঢেঁড়শ ও বেগুন


এম এ  রহিম   প্রকাশিত:  ০৬ জুন, ২০২২, ০১:৩৩ পিএম

যশোরের শার্শা-বেনাপোলে গৃস্মকালীর সবজির বাজারে ধ্বস: হতাশায় কৃষকরা

যশোরের শার্শা বেনাপোলে পটল বেগুন ভেন্ডিসহ বিভিন্ন ধরনের গৃস্মকালীর সবজির বাজারে ধ্বস নেমেছে। ৩থেকে৫টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে পটল ও বেগুন। দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে কৃষকেরা। পটল ও বেগুন ক্ষেত কেটে ফেলছেন তারা।  তবে কৃষকেরা দাম না পেলেও শার্শা ডিহি নিজামপুর গোগা বাহাদাপুর বেনাপোল কাগজপুকুরসহ বিভিন্ন কাচামালের বাজারে বেশী দামেই বিক্রি করছে এসব সবজি। ফলে প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্রেতা ও চাষীরা। বাজার মনিটরিং না থাকায় অসাধু ব্যাবসায়িরা ইচ্ছা মতো নিচ্ছেন দাম। কৃষকেরা পাচ্ছেন প্রতৃত মুল্য। কিছু অসাধু আড়ৎ ব্যাবসায়িদের কারসাজি বলে দাবী করেন কৃষকেরা।                       

চলতি খরিদ মৌসুমে যশোরের বেনাপোল উলাশি কায়বা বাগআচড়া ও ডিহিসহ  শার্শা উপজেলায় তার্গেট অতিরিক্ত গৃস্মকালীন সবজি চাষ হয়েছে। ফলেছে বাম্পার ফলন। কৃষকেরা আগাম জাতের উৎপাদিত সবজির ফলন ও দাম ভাল পেলেও সম্প্রতি এক সপ্তাহের ব্যাবধানে বেগুন, পটল, ঢেঁড়শ উচ্ছে, লাউ ও ডাটার দাম অনেক কমে গেছে। ৩ থেকে৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি। ফলে জমি থেকে সবজি উত্তোলন ও পরিবহন খরচ উঠছেনা। ফলে কেটে ফেলছেন সবজি ক্ষেত। তবে ১০থেকে ২০টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। বেগুনের দাম নেওয়া হচ্ছে কয়েকগুন বেশী। বাজার কমিটিসহ প্রশাসনের কোন মনিটরিং না থাকায় কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আঙুলফুলে কলাগাছ হচ্ছে ব্যাবসায়িরা। 

সবজি বিক্রেতা  রাসেদ আলী মনির হোসেন, ক্রেতা আকলিমা খাতুন ও রেবেকা পারভিন বলেন, শহর ও গ্রাম এলাকায় সবজি সহ নিত্য পন্যের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আলু মরিচ বেগুন টমেটো সহ অধিকাংশ নিত্য পন্যের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তিতে তারা। তবে কৃষকেরা পড়ছেন লোকসানের মুখে। কারন কমদামে সবজি কিনে সময় ও সুযোগমতো বেশীদামে বিক্রি হচ্ছে বাজারগুলোতে। যে যার মতো নিচ্ছেন দাম। নেই কোন সমজ্যস্য। ফলে ক্রেতারাও পড়ছেন বিপাকে। বাজার মনিটরিংসহ সমন্বয়ের দাবী  ভুক্তভোগী চাষী ও ক্রেতাদের। তবে অনেক চাষী বলেন প্রথমে সব সবজির দাম পেয়েছেন ভাল। উৎপাদন খরচের ৪গুন বেশী লাভ করেছেন তারা। শেষেরদিকে সবজির বাজার কমে যাওয়ায় অতিরিক্ত লাভ থেকে হচ্ছেন বঞ্চিত।   

উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা-কায়বা,শার্শার সেলিনা খাতুন বলেন,উপজেলার কায়বা এলাকায় বেড়েছে সবজি চাষ। কৃষকের প্রশিক্ষন পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়ায় বাড়ছে চাষ লাভবান হচ্ছে কৃষকেরা। আগামী আরো সবজি চাষ বাড়ায় আশা করেন তিনি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মন্ডল বলেন, সম্ভাবনাময় উপজেলা শার্শায় তার্গেট অতিরিক্ত জমিতে হয়েছে সবজি চাষ। কৃষকেরা প্রথমে সবজির দামও পেয়েছে ভাল। বর্তমানে দাম কমে গেলেও লোকসান হবে না বলে জানিয়েছে চাষীরা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করে সরকারি প্রণোদনা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। 

চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১২শ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষমাত্রা নিয়ে চাষ হয়েছে ১৫শ হেক্টর জমিতে।