ঢাকা, শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হলেও দুর্ভোগ বেড়েছে 


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ১৯ জুন, ২০২২, ০৬:০৬ পিএম

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হলেও দুর্ভোগ বেড়েছে 

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হলেও দুর্ভোগ বেড়েছে 

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে দ্বিতীয় দফায় সৃষ্ট শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নি¤œাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সেই সাথে বন্যা কবলিত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এতে করে শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার অন্তত চল্লিশ গ্রামের বিশ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ফলে গবাদি পশু, শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে প্লাবিত এলাকার মানুষ। 

অনেক এলাকায় এখনও বাড়ি ঘরে রান্নার চুলা জ¦ালানো সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি তাঁদের ঘরে শুকনা খাবার পর্যন্ত নেই। ওইসব অসহায় মানুষগুলো বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দুর্গত এলাকায় পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। ওইসব এলাকায় দুর্ভোগ বাড়লেও চিকিৎসা সেবা ও ত্রাণ তৎপরতা বন্যাকবলিত মানুষের কাছে পৌছেনি বলে বিস্তর অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

গত দুই দিন শেরপুরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উজানের পানি দ্রুতই নেমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নতুন করে আবারও নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়বে। জেলার সবগুলো নদ-নদীতে পানি কমলেও ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে তা বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ী নদীর বিভিন্ন স্থানে বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ীভাবে সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বাঁধ সংস্কার না হলে উজান থেকে পাহাড়ী ঢল নামলেই আবারো বন্যা কবলিত হয়ে পড়বে নদী এলাকার আশপাশের গ্রামগুলো এমনটিই জানিয়েছেন এলাকাবাসী। 
জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের সহায়তায় ৬০ মেট্রিক টন চাল, তিন লাখ নগদ টাকা ও এক হাজার পাঁচশত প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও বরাদ্দের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান ।