ঢাকা, বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Logo
logo

অনলাইন আর সেলফোনের মাধ্যমে দেহ ব্যবসা!


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৯ জুন, ২০২২, ০২:০৬ পিএম

অনলাইন আর সেলফোনের মাধ্যমে দেহ ব্যবসা!

অনলাইন আর সেলফোনের মাধ্যমে রাজধানীতে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। ওয়েবসাইট খুলে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম। দেহ ব্যবসা চালাতে অনলাইনে খোলা হয়েছে একাধিক ওয়েবসাইট। সেখানে দেহ পসারিনীদের নগ্ন ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য ও ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। এসব ওয়েবসাইটের ব্যাপক প্রচারণার জন্য বিভিন্ন ধরনের বাঙালি মেয়েদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে।

তবে সুনির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা না থাকায় এই ওয়েবসাইটগুলো কে বা কারা পরিচালনা করছে, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি।  অনলাইনভিত্তিক এই ওয়েবসাইটগুলো বাসায় বা ফ্ল্যাট এবং হোটেলে যৌনকর্মী সরবরাহ করার কথা বলছে। এমনকি শত ভাগ সততা ও গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ করার নিশ্চয়তাও দেওয়া হচ্ছে।  এস্কর্ট শব্দের আর্থিক প্রতিশব্দ ‘সহচর’ বা 'সশস্ত্র সঙ্গী’ হলেও এসব সহচর হচ্ছে মূলত দেহব্যবসায়ী। তবে 'সহচর' দেওয়ার নাম করে চলছে ব্যাপক প্রতারণা। 

এছাড়াও, সেবা দেওয়ার নামে প্রতারণা বাণিজ্যও চালিয়ে যাচ্ছে এসব ওয়েবসাইট নির্মাণকারী কুচক্রী মহল। সমাজের শিক্ষিত, অর্ধ-শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্ত মেয়েরাও এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে সূত্র। 

খদ্দেরদের আকৃষ্ট করতে এস্কর্ট সার্ভিস দেওয়ার দাবি করা কিছু ওয়েবসাইট পাওয়া গেছে। এসব ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বয়সী নারী ও পুরুষের বিজ্ঞাপন দেওয়া আছে। তেমনই একটি ওয়েবসাইটের নাম হচ্ছে - www.bangladeshiescorts.com, silverescortdk.com, www.dhakagirlsbd.com, best-escortgirls.com/index.php?c=bangladesh, goldenescortbd.com, callgirldkbd.com, rentescortus.com, bdcallgirlescort.com, escortservicebd.com, www.mangalworld.com/listing-location/bangladesh, www.bangladeshicallgirl.com/prapti/, bangladesh.escortbook.com, dhakahot.escortbook.com, www.dhakaescort.xyz । এই ওয়েবসাইটের পেজগুলোতে ক্লিক করে এস্কর্ট-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।

এই প্রতিবেদক কয়েকটি ওয়েবসাইটে দেয়া নাম্বারের হোয়াটস অ্যাপে যোগাযোগ করে মেম্বারশীপ হওয়ার জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠান। পরে ওই হোয়াটস অ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তাদের পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু লজ্জায় কেউ মুখও খুলতে পারছেন না।

এবিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগসহ পুলিশের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।