ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
Logo
logo

মোবাইল অ্যাপ 'আস্থা'য় ফান্ড ট্রান্সফার লিমিট বৃদ্ধি করলো ব্র্যাক ব্যাংক


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ১৪ জুলাই, ২০২২, ০১:০৭ পিএম

মোবাইল অ্যাপ 'আস্থা'য় ফান্ড ট্রান্সফার লিমিট বৃদ্ধি করলো ব্র্যাক ব্যাংক

গ্রাহকদের উন্নততর ডিজিটাল ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা দিতে ব্র্যাক ব্যাংক ‘আস্থা’ মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েব ইন্টারফেসে ফান্ড ট্রান্সফার লিমিট বাড়িয়েছে।  

'আস্থা'য় অ্যাকাউন্ট টু অ্যাকাউন্ট ফান্ড ট্রান্সফার লিমিট বাড়িয়ে দিনে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। স্থানান্তরের এই সীমা চার ধরনের ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য - এনপিএসবি, বিইএফটিএন ও আরটিজিএস চ্যানেলের মাধ্যমে অন্য ব্যাংকে ট্রান্সফার এবং ব্র্যাক ব্যাংক-টু-ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার।  

গ্রাহকরা দিনে একাধিক মোবাইল ওয়ালেট অ্যাকাউন্টে (বিকাশ, রকেট, ট্যাপ, ওকে ওয়ালেট, আইপে এবং ক্যাশবাবা) এক লাখ টাকা পর্যন্ত স্থানান্তর করতে পারবেন। অন্যদিকে মোবাইল ওয়ালেট থেকে ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দিনে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত স্থানান্তর করতে পারবেন।   

এছাড়া মোবাইল ব্যালেন্স রিচার্জ করতে পারবেন দিনে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। 'আস্থা'য় কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে দিনে পাঁচ লাখ টাকা মার্চেন্ট পেমেন্ট করা যাবে।   

গ্রাহকরা এই সব সুবিধা উপভোগ করবেন কোন চার্জ ছাড়াই। শুধুমাত্র ক্রেডিট কার্ড থেকে মোবাইল ওয়ালেট ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে চার্জ প্রয়োজ্য হবে।  

মোবাইল অ্যাপ 'আস্থা' কার্যকরীভাবে সমৃদ্ধ, অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন, ব্যবহারে সহজ, নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। এটি গ্রাহকদেরকে মাত্র কয়েকটি ক্লিকে ব্যাঙ্কিং লেনদেন সম্পন্ন করার সুবিধা দেয়। 'আস্থা' পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা এবং এনগেজমেন্ট টুলস দ্বারা সমৃদ্ধ, যা গ্রাহকদের আনন্দদায়ক ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা দেয়। অধিক সংখ্যক গ্রাহককে সেবা দিতে সক্ষম এবং বাজারের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। 

গ্রাহকরা অন্য ব্যাঙ্কে তহবিল স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এনপিএসবি, বিইএফটিএন ও আরটিজিএস-এর মত বিকল্প পদ্ধতিগুলো বেছে নিতে পারবেন। এ সুবিধা নিতে কোন চার্জ লাগবে না। এনপিএসবি ও আরটিজিএস-এর মাধ্যমে গ্রাহকরা তাৎক্ষণিকভাবে দেশের যেকোনো ব্যাংকে তহবিল স্থানান্তর করতে পারবেন। 

এনপিএসবি ট্রান্সফার দিনে-রাতে ২৪ ঘন্টা সপ্তাহের সাতদিনই করা যাবে। এই রিয়েল-টাইম এনপিএসবি ট্রান্সফার সুবিধাটি রিটেইল এবং এসএমই (একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান) গ্রাহকদের প্রতিদিনের ব্যাঙ্কিং এবং ব্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা পূরণে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। আরটিজিএস ট্রান্সফারের সুবিধা শুধুমাত্র ব্যাংকের কর্মদিবসে সীমিত সময়ে নেয়া যাবে। বিইএফটিএন ট্রান্সফার যেকোন সময়ই শুরু করা যাবে, কিন্তু ফান্ডটি প্রাপক অ্যাকাউন্টে পরবতী কর্মদিবসে পৌঁছায়।    

ব্র্যাক ব্যাংক-এর রিটেইল এবং এসএমই (একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান) অ্যাকাউন্টগুলোর সাথে কোন ফি ছাড়াই আস্থা অ্যাপ সাবস্ক্রিপশন সুবিধা আছে, যা কোনও শাখায় না গিয়েও অনলাইনে স্ব-নিবন্ধিত করা যায়। 

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে প্রথমবারের মত 'আস্থা' দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর - গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল এবং বাংলালিংকের সাথে অংশীদারিত্বে ডিজিটাল রিওয়ার্ড সুবিধা চালু করেছে। যার মধ্যে আছে, কোন ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই 'আস্থা' অ্যাপ ব্যবহার ও বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্যাক পাওয়ার সুবিধা। 

তহবিল স্থানান্তর ছাড়াও 'আস্থা' অ্যাপ ডিপিএস, এফডিআর, নতুন পিন তৈরি করা, বিদ্যমান পিন পরিবর্তন, ভুলে যাওয়া পিন পুনরায় সেট করা, অস্থায়ী কার্ড ব্লক ইত্যাদি সহ বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে। 'আস্থা' অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন অনেক নিরাপদ, কারণ প্রতিটি লেনদেন নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর বা ইমেলে পাঠানো ওটিপি’র মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। 

‘আস্থা’ অ্যাপের এই নতুন সুবিধা সম্পর্কে ব্যাঙ্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন: “ব্র্যাক ব্যাংক-এর ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন যাত্রার মুখ্য অবস্থান জুড়ে আছে 'আস্থা' অ্যাপ। ডিজিটাল উদ্ভাবনের সাহায্যে গ্রাহকসেবা উন্নত করার প্রতি ব্র্যাক ব্যাংক যে বিশেষ জোর দিচ্ছে 'আস্থা' অ্যাপ এর প্রমাণ দিচ্ছে। 'আস্থা' বিস্তৃত সেবার পরিধি সমৃদ্ধ একটি অ্যাপ, যা সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা ডিজিটালি সম্পন্নের সুবিধা দেয়। এটি ব্যাংকের সব সেবা গ্রাহকদের নখদর্পণে নিয়ে এসেছে। ‘ব্যাংক স্মার্ট’ এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসা ‘আস্থা’ অ্যাপ স্মার্ট ব্যাংকিং সলিউশন প্রদান করছে এবং বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এই সীমা বৃদ্ধি স্বতন্ত্র ও ব্যবসায়িক গ্রাহকদের প্রাত্যহিক ব্যাঙ্কিং সেবার চাহিদা পূরণ করবে। গ্রাহকদের বৈচিত্র্যময় ব্যাংকিং চাহিদা মেটাতে আমরা ‘আস্থা’ অ্যাপে আরও নতুন নতুন ফিচার যোগ করা অব্যাহত রাখবো।”