এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম

ভারতের আসামে অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। আর এর মাঝেই দেশজুড়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি করেছেন ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী সৈয়দা সাইয়্যেদিন হামিদ। তিনি সরাসরি বলেছেন—“বাংলাদেশিরাও মানুষ, তাদেরও ভারতের মাটিতে বসবাসের অধিকার আছে।
তার এই মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় উঠেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এক্সে দেওয়া পোস্টে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, “মানবতার নামে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছেন সৈয়দা হামিদ। এ ধরনের কথা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও জাতিসত্ত্বার বিরুদ্ধে।”
তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, “বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান আর বৌদ্ধরা কেন নির্যাতনের শিকার হন? সৈয়দা হামিদ সোনিয়া গান্ধী বা রাহুল গান্ধীর কাছের হতে পারেন, কিন্তু অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করা উচিত নয়।”
শুধু রিজিজুই নন, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং দেশটির অন্যান্য শীর্ষ রাজনীতিকরাও হামিদের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
হামিদের মন্তব্য সামনে আসে আসাম সফরের সময়। সেখানে তিনি প্রশাসনের কঠোর অভিযান ও মুসলিমদের উচ্ছেদ নিয়ে সরব হন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তিনি বলতে শোনা যায়, “তারা যদি বাংলাদেশি হয়, তাতে দোষ কোথায়? বাংলাদেশিরাও তো মানুষ। পৃথিবী এত বড়, তারাও এখানে থাকতে পারে। কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, “আল্লাহ এই পৃথিবী মানুষের জন্য সৃষ্টি করেছেন, শয়তানদের জন্য নয়। একজন মানুষ যদি পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাকে উৎখাত করা মুসলমানদের কাছে কিয়ামতের মতো। আসাম সরকার মুসলমানদের বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। এটা মানবতার পরিপন্থী।”
উল্লেখ্য, ড. মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের আমলে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন সৈয়দা হামিদ। এবার তার বক্তব্য সরাসরি আসাম সরকারের নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দিল।