ঢাকা, রবিবার, ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ | ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
Logo
logo

জনগণই মোদির ভগবান: আরজেডি-কংগ্রেসের কটূক্তি, ‘রিমোট কন্ট্রোল’ প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম

জনগণই মোদির ভগবান: আরজেডি-কংগ্রেসের কটূক্তি, ‘রিমোট কন্ট্রোল’ প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি আসামের দরং জেলায় এক জনসভায় বলেছেন, “জনগণই আমার ভগবান, আমার রিমোট কন্ট্রোল।” বিরোধী কংগ্রেস ও আরজেডি-এর কটূক্তির পর এই মন্তব্য করেছেন তিনি।

মোদি জানান, সাম্প্রতিক নির্বাচনী প্রচারে বিহারে আরজেডি-কংগ্রেসের একটি মঞ্চ থেকে তার এবং প্রয়াত মা হীরাবেন মোদিকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি শিবভক্ত এবং এই ধরনের গালিগালাজের বিষ গিলতে প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, “যদি জনগণের সামনে আমি আমার দুঃখ প্রকাশ না করি, তবে কোথায় করব? তারা আমার দেবতা, আমার রিমোট কন্ট্রোল। আমার আর কোনো রিমোট কন্ট্রোল নেই।”

মোদির এ মন্তব্যের রাজনৈতিক তাৎপর্যও রয়েছে। অতীতে তিনি অভিযোগ করেছেন, ইউপিএ সরকারের সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিয়ন্ত্রণ করতেন সোনিয়া গান্ধী। বর্তমান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকেও তিনি ‘রিমোট কন্ট্রোল’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তবে কংগ্রেস বারবার তা অস্বীকার করেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা তাকে কংগ্রেস সভাপতি খাড়গের মন্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। মোদি বলেন, ভারত যখন কিংবদন্তি গায়ক ভূপেন হাজারিকাকে ভারতরত্নে ভূষিত করে, তখন খাড়গে কটাক্ষ করেছিলেন। মোদি তাৎক্ষণিকভাবে জানান, ভূপেন হাজারিকা দেশের অসাধারণ শিল্পী এবং তার সৃষ্টিকর্ম আসামের সংস্কৃতি ও শিল্পকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিয়েছে।

মোদির অভিযোগ, কংগ্রেস আজও উত্তর-পূর্বের মানুষের ক্ষত নেড়েচেড়ে ভোটের রাজনীতি করছে। তিনি বলেন, দশকের পর দশক কংগ্রেস আসাম শাসন করলেও ব্রহ্মপুত্রের ওপর মাত্র তিনটি সেতু বানিয়েছে। তার বিপরীতে বর্তমান সরকার এক দশকে ছয়টি নতুন সেতু নির্মাণ করেছে।

সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের প্রসঙ্গেও মোদি তীব্র মন্তব্য করেন। বলেন, কংগ্রেসের আমলে সন্ত্রাস থাকলেও তারা নীরব থাকত। এখন আমাদের সেনারা ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে পাকিস্তানের প্রতিটি কোণ থেকে সন্ত্রাস উপড়ে ফেলছে।

মোদির মতে, কংগ্রেস পাকিস্তান সেনার পক্ষে দাঁড়ায় এবং দেশের নিরাপত্তার প্রতি উদাসীন। অভিবাসন নীতি নিয়েও কংগ্রেসের লক্ষ্য ভোটব্যাঙ্ক, দেশের স্বার্থ নয়। তারা দেশবিরোধী অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষক হয়ে উঠেছে।