ঢাকা, শনিবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫ | ৫ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

ম্যাচ রেফারির সঙ্গে বৈঠক ভিডিও করার অভিযোগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে আইসিসির কড়া নোটিশ


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম

ম্যাচ রেফারির সঙ্গে বৈঠক ভিডিও করার অভিযোগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে আইসিসির কড়া নোটিশ

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের হ্যান্ডশেক বিতর্ক এখনো ঠাণ্ডা হয়নি, এর মাঝেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বিরুদ্ধে উঠল নতুন অভিযোগ। এশিয়া কাপে এবার আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

ঘটনা ঘটেছে গত বুধবার দুবাইয়ে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের সঙ্গে বৈঠকে বসে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা, কোচ মাইক হেসন, ম্যানেজার নাভিদ আকরাম চীমা ও মিডিয়া ম্যানেজার নাঈম জিলানি। বৈঠকে আরও ছিলেন আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার ক্রিকেট ওয়াসিম খান।

সমস্যা শুরু হয় যখন জিলানি বৈঠকের ভিডিও ধারণ করতে চান। নিয়ম অনুযায়ী, খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত এলাকা (PMOA)-তে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইসিসি শুরুতেই তা স্পষ্ট করে দিলেও, পিসিবি নাকি জানিয়ে দেয়—ভিডিও রেকর্ডিং না করতে পারলে তারা ম্যাচ খেলবে না। শেষ পর্যন্ত অডিও ছাড়া ভিডিও করার অনুমতি দেওয়া হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, আইসিসির সিইও সঞ্জোগ গুপ্তা এক ই-মেইলে পিসিবিকে সতর্ক করেছেন। তার ভাষায়, “এভাবে ভিডিও ধারণ করা আচরণবিধির একাধিক শর্ত ভঙ্গ করেছে।”

বৈঠকে পাইক্রফট আবারও স্পষ্ট করে জানান, ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ও পাকিস্তান অধিনায়ক সালমানের হ্যান্ডশেক না হওয়ার ঘটনায় তিনি কোনো নির্দেশ দেননি। তিনি শুধু বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করেছিলেন। ভুল বোঝাবুঝির জন্য অবশ্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

তবে পিসিবির দাবি, পাইক্রফট নাকি সরাসরি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এমনকি ভারতের বিপক্ষে হ্যান্ডশেক না হওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিসিবি আইসিসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল, পাইক্রফটকে টুর্নামেন্ট থেকে সরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সাড়া মেলেনি।

এর ফলে একসময় আরব আমিরাতের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচ মাঠে গড়ানো নিয়েই তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। তবে শেষ পর্যন্ত এক ঘণ্টা দেরি করে ম্যাচ শুরু হয়।

সব মিলিয়ে, এশিয়া কাপের মাঠের লড়াই যতটা না আকর্ষণীয় হচ্ছে, মাঠের বাইরের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক টানাপোড়েন ততটাই আলোচনায় থাকছে।