ঢাকা, শনিবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫ | ৫ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

সুদানের আল-ফাশের মসজিদে ড্রোন হামলায় নিহত ৭৮, আহত ২০, শহরে আতঙ্ক


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০৯ পিএম

সুদানের আল-ফাশের মসজিদে ড্রোন হামলায় নিহত ৭৮, আহত ২০, শহরে আতঙ্ক

সুদানের আল-ফাশের শহরের একটি মসজিদে ড্রোন হামলায় ৭০-এর বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোরের প্রার্থনার সময় সংঘটিত এই হামলায় ৭৮ জন নিহত এবং প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছে, প্রার্থনার সময়ই হামলা চালানো হয়।

হামলার জন্য আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-কে দায়ী করা হলেও, গোষ্ঠীটি এখনও নিজেদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেনি।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে আরএসএফ দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে। আল-ফাশের শহরের দখল নিতে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে আরএসএফ। এটি দারফুর অঞ্চলের সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি। শহরের তিন লাখের বেশি বেসামরিক নাগরিক এই সংঘাতের ফাঁদে আটকা পড়েছেন।

চলতি সপ্তাহে আরএসএফ শহরে নতুন করে হামলা শুরু করেছে। শহরের বাইরে অবস্থিত বাস্তুচ্যুতদের শিবিরেও ভয়াবহ হামলার খবর পাওয়া গেছে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের (এইচআরএল) বিশ্লেষণ অনুযায়ী, স্যাটেলাইট ছবি দেখায়, শিবিরটির বড় অংশ এখন আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে।

সুদানের বিশ্লেষক ও মানবাধিকারকর্মীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, সাধারণ নাগরিকরা আরএসএফের রোষের শিকার হতে পারেন। তাদের অধিকাংশই আধাসামরিক বাহিনীটির দৃষ্টিতে শত্রু জনগোষ্ঠীর অংশ।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, সংঘাত ক্রমশ জাতিগত রূপ নিচ্ছে এবং প্রতিপক্ষকে সহযোগিতার অভিযোগে দু’পক্ষই সাধারণ মানুষকে নিশানা করছে।

জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থার নথিতে দেখা গেছে, দখলকৃত এলাকায় অ-আরব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল নীতি চালাচ্ছে আরএসএফ। সম্প্রতি ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানিয়েছে, আল-ফাশের শহরকে অ-আরব জনগোষ্ঠীমুক্ত করার পরিকল্পনা প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছে গোষ্ঠীটি।

তবে এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে আরএসএফ। তাদের দাবি, তারা কোনও জাতিগত সংঘাতে জড়িত নয়।