এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০৯ পিএম
নেপালের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগের পর সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় ছিলেন। ৯ দিন ব্যারাকে অবস্থানের পর তিনি একটি ব্যক্তিগত ঠিকানায় চলে গেছেন। খবর জানিয়েছে কাঠমাণ্ডু পোস্ট।
খবরে বলা হয়, ৯ সেপ্টেম্বর পদত্যাগের পর থেকে তিনি শিবপুরীর সেনা স্টাফ কলেজে অবস্থান করছিলেন। তবে গত বৃহস্পতিবার তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান। সেনাবাহিনী সূত্রের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ৯ দিন সেনা নিরাপত্তায় থাকার পর নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান একটি ব্যক্তিগত জায়গায় চলে গেছেন। এখন তিনি কোথায় থাকবেন, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কাঠমাণ্ডু থেকে ১৫ কিলোমিটার পূর্বে ভক্তপুর জেলার গুণ্ডু এলাকার একটি ব্যক্তিগত বাড়িতে থাকতে পারেন অলি।
গতকাল শুক্রবার নেপালের সংবিধান দিবসে ফেসবুকে এক বিবৃতিতে অলি দেশটির সংবিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। তিনি লিখেছেন, “অবরোধ এবং দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে সংবিধান জারি করা হয়েছিল।”
তিনি ২০১৫ সালের অবরোধের কথা উল্লেখ করেন, যে অবরোধে ভারতের হাত ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নেপালের দক্ষিণ সীমান্তে তীব্র অবরোধ চলেছিল। জ্বালানি, ওষুধ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ বহনকারী ট্রাকগুলো দেশে প্রবেশ করতে পারত না।
এই অবরোধে মূলত জাতিগত সংখ্যালঘুদের নেতৃত্ব ছিল। যদিও অলি সরাসরি ভারতের নাম উল্লেখ করেননি, তার মন্তব্য স্পষ্টভাবে দেশের প্রতি ইঙ্গিত করছে।
অলি বলেছেন, এই অবরোধ নেপালের পররাষ্ট্রনীতি এবং অবকাঠামোগত কৌশলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে কাজ করেছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, পুলিশকে কখনোই বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেননি।
হত্যায় ব্যবহৃত স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র পুলিশের কাছে ছিল না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আন্দোলনের প্রসঙ্গে অলি বলেন, “আয়োজকরা স্বীকার করেছেন আন্দোলনে অনুপ্রবেশ ঘটেছিল। ষড়যন্ত্রকারীরা সহিংসতা সৃষ্টি করেছে। সরকার কখনোই পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে নির্দেশ দেয়নি। তদন্তে বেরিয়ে আসুক, কারা সেই স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করেছে।”