ঢাকা, শনিবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫ | ৫ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

হিজবুল্লাহর নেতা কাসেম সৌদি আরবকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে অংশ নিতে আহ্বান


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০৯ পিএম

হিজবুল্লাহর নেতা কাসেম সৌদি আরবকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে অংশ নিতে আহ্বান

লেবাননের ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান নাইম কাসেম সৌদি আরবকে আহ্বান করেছেন লেবাননের সঙ্গে পুরনো সম্পর্কের টানাপোড়েন ভুলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি যৌথ ফ্রন্ট গড়তে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তিনি রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক সংস্কারের প্রস্তাবও দেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০১৬ সালে সৌদি আরব এবং অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলো হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সৌদি আরব ও ওয়াশিংটন লেবাননের অভ্যন্তরে এই গোষ্ঠীর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার চাপ তৈরি করছে।

শুক্রবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে কাসেম বলেন, “আঞ্চলিক শক্তিগুলোর উচিত হিজবুল্লাহকে নয়, বরং ইসরাইলকে মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান হুমকি হিসেবে দেখা।” তিনি আরও বলেন, হিজবুল্লাহর অস্ত্র কেবল ইসরাইলের দিকে লক্ষ্য করা হয়েছে, লেবানন বা সৌদি আরব নয়।

কাসেম সতর্ক করে বলেন, হিজবুল্লাহর ওপর চাপ প্রয়োগ করলে তা শুধু ইসরাইলের জন্যই লাভজনক হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালের হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের যুদ্ধের পর সৌদি আরব লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল পুনর্গঠনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিল, কিন্তু ইরানের সমর্থনে হিজবুল্লাহ আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

২০২১ সালে সৌদি আরব লেবাননের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে এবং আমদানি নিষিদ্ধ করে, সম্পর্কের তীব্র অবনতি ঘটে। সেই সময় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, “হিজবুল্লাহ লেবাননের রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব রাখে।”

এর আগে হিজবুল্লাহর তৎকালীন মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ ইয়েমেনে সৌদি আরবের ভূমিকা বারবার সমালোচনা করেছিলেন।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে রাজনৈতিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। গত বছর ইসরাইল হিজবুল্লাহকে আক্রমণ করে নাসরুল্লাহকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল এবং ডিসেম্বরে বিদ্রোহীরা গ্রুপটির সিরিয়ান মিত্র বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে।