এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম
ভারতের আসাম রাজ্যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কৌশল অনুসরণের অভিযোগ উঠেছে। শাসকদল বিজেপি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে মুসলমানদেরকে অবৈধ অভিবাসী এবং জাতীয় সম্পদের জন্য হুমকি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এই ভিডিও কেবল নির্বাচনী প্রচারণার অংশ নয়; বরং এটি পশ্চিম এশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষিত ইসরায়েলি মডেলের একটি উদ্বেগজনক অনুকরণ। সংখ্যালঘুদের “দানবীয়” হিসেবে দেখানোর এই কৌশল রাজনৈতিক শক্তি জোরদারের জন্য ব্যবহার করা হয়।
ভারতীয় সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি ভিডিওটিকে “ঘৃণ্য” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ভিডিওতে মুসলমানদের “সমস্যা” হিসেবে দেখানো হয়েছে। সমালোচকরা এটিকে “ভাগ করো এবং শাসন করো” নীতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনে ব্যবহার করে আসছে।
ভিডিওতে মুসলমানদের ধর্মীয় পোশাক পরিধান করে সরকারি স্থাপনায় উপস্থিত দেখানো হয়েছে, যেন তাদের উপস্থিতি জাতীয় সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। পাশাপাশি বিরোধী দল ও পাকিস্তানি পতাকা দেখিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। লেবেলিং, ভয়-ভীতি এবং জাতিগত ঘৃণা উস্কানি দেওয়ার এই কৌশলগুলো ইসরায়েলি মিডিয়া এবং রাজনৈতিক কৌশলের সাথে মিলে যায়।
এছাড়া, ভারতীয় রাজনীতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এই মিলকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রীর ইসলামোফোবিক ভাষার ব্যবহার সম্পর্কিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনও এই প্রবণতার প্রমাণ দেয়।
প্রশ্ন হচ্ছে: ইসরায়েল কি শুধু ভারতের কৌশলগত মিত্র, নাকি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সামাজিক ও রাজনৈতিক মডেলের সরবরাহকারী? যদি উত্তর হয় “হ্যাঁ,” তবে প্রযুক্তি, জাতিগত বৈষম্য এবং রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে ঘৃণা ছড়ানোর ভবিষ্যৎ কেবল মুসলমানদের জন্য নয়, সমগ্র ভারতের গণতন্ত্রের জন্যও হুমকি হতে পারে।