ঢাকা, মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫ | ৮ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ফ্রান্স-সৌদি সম্মেলনে আরও ৬ দেশের অংশগ্রহণ, বিরোধিতা ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:০৯ পিএম

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ফ্রান্স-সৌদি সম্মেলনে আরও ৬ দেশের অংশগ্রহণ, বিরোধিতা ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র

ফ্রান্স ও সৌদি আরব আজ সোমবার ফিলিস্তিনে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে সমর্থন জোগাতে এক বহুজাতিক সম্মেলনের আয়োজন করছেন। এতে অন্তত কয়েক ডজন দেশের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। আশা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবেন। তবে এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গত রোববার যুক্তরাজ্য, কানাডা, পর্তুগাল ও অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজ সোমবার আরও ছয়টি দেশ একই পদক্ষেপ নেবে। এই ঘোষণা আসতে পারে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিশ্বনেতাদের ভাষণের আগে।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া ১৪৭টি জাতিসংঘ সদস্য দেশের তালিকায় এবার যুক্ত হচ্ছে ৬ দেশ—বেলজিয়াম, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা এবং সম্ভবত নিউজিল্যান্ড ও লিখটেনস্টাইন। এই দেশগুলো আজ সোমবার জাতিসংঘের বিশেষ এক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেবেন।

সম্মেলনের উদ্দেশ্য ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের ম্লান হয়ে যাওয়া প্রচেষ্টা পুনরুজ্জীবিত করা। এর মধ্যে কিছু দেশ, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, ইহুদিদের নতুন বছরের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আগেভাগেই ঘোষণা দিয়েছে।

সম্মেলনে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করছে ফ্রান্স ও সৌদি আরব। তবে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান এতে যোগ দিচ্ছেন না। বিপরীতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ উপস্থিত থাকবেন।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এই সম্মেলন বর্জন করছে। জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা মনে করি না এটি সহায়ক; বরং এটি সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করছে।’ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এসব স্বীকৃতি ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইতিমধ্যেই সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী পশ্চিম তীরের অংশ দখলের দাবি তুলেছেন।

সৌদি আরব সতর্ক করেছে, পশ্চিম তীর দখল করলে ‘গুরুতর প্রভাব’ পড়বে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতও বলেছে, দখলকরণ বিপজ্জনক হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র এসব স্বীকৃতিকে ‘লোক দেখানো’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার স্পষ্ট—জিম্মিদের মুক্তি, ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং গোটা অঞ্চলের শান্তি ও সমৃদ্ধি, যা কেবল হামাসমুক্ত অবস্থায় সম্ভব।’

মার্কিন প্রশাসন সতর্ক করেছে, যারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। ফ্রান্সও এর মধ্যে রয়েছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, তারা প্যারিসের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পাল্টা ব্যবস্থা বিবেচনা করছে।