এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম
পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় ভয়াবহ অভিযান চালিয়েছে দেশটির বিমানবাহিনী। বিমান থেকে একের পর এক বোমা বর্ষণে নারী-শিশুসহ অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই বেসামরিক মানুষ।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, এই হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তবে এখনো সুনির্দিষ্ট সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) খাইবার পাখতুনখোয়ার তিরাহ উপত্যকার মাত্রে দারা গ্রামে বিমানবাহিনী অন্তত ৮টি এলএস-৬ বোমা ফেলে। এ হামলার পর গ্রামজুড়ে ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে পড়ে। সংস্থাটি প্রকাশ করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে— ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহ টেনে বের করছেন উদ্ধারকর্মীরা। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছে অ্যামনেস্টি।
খাইবার পাখতুনখোয়া দীর্ঘদিন ধরেই তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। গোষ্ঠীটি কয়েক বছর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ হলেও, ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর এ অঞ্চলে তাদের তৎপরতা দ্রুত বেড়েছে।
প্রাদেশিক পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত শুধু এই প্রদেশেই ছোট-বড় ৬০৫টি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩৮ জন বেসামরিক নাগরিক ও ৭৯ জন পুলিশ সদস্য। আহত হয়েছেন কয়েকশো মানুষ, যার মধ্যে সাধারণ নাগরিক ছাড়াও রয়েছেন পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। শুধু গত আগস্ট মাসেই ঘটেছে ১২৯টি হামলা।
অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের আঞ্চলিক উপপরিচালক ইসাবেলে ল্যাসি বলেন, “দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ দমন এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স ভয়াবহভাবে হতাশাজনক।”