এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে শোচনীয় হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ জেতার লক্ষ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জাকের আলী অনিক।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে ভারত। ওপেনিং জুটিতে দল তোলে ৭৭ রান। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভারত এমন শক্ত শুরু পায়। এরপর রিশাদ হোসেন পরপর দুই ওভারে তুলে নেন ১৯ বলে ২৯ রান করা শুভমান গিল এবং তিন নম্বরে প্রোমোশন পাওয়া শিভম দুবেকে।
মুস্তাফিজুর রহমান ফেরান সূর্যকুমার যাদবকে (১১ বলে ৫ রান) এবং সাকিব তিলক ভার্মাকে। হার্দিক পান্ডিয়ার ২৯ বলে ৩৮ রানের সুবাদে ভারত শেষ পর্যন্ত ছয় উইকেটে ১৬৮ রান তোলে। রিশাদ হোসেন ২৭ রান খরচে দুই উইকেট নিয়ে দলের ভালো শুরু ধরে রাখেন। সাইফ হাসান দুই ওভারে মাত্র সাত রান দেন, উইকেট না পেলেও গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম দেখান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে তানজিদ হাসান তামিমকে হারালেও সাইফের ব্যাটিংয়ে রান তোলায় সক্ষম হয় বাংলাদেশ। পারভেজ হোসেন ইমন ১৯ বলে ২১ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে আউট হন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।
সাইফ হাসান ৫১ বলে ৬৯ রান করেন। ১৯.৩ ওভারে বাংলাদেশ গুঁটিয়ে যায় ১২৭ রানে। কুলদীপ, বরুণ চক্রবর্তী ও জসপ্রিত বুমরাহর সামনে পুরোপুরি অসহায় হন তাওহীদ হৃদয় (৭), শামীম পাটোয়ারি (০), জাকের (৪) ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (৪)।
ম্যাচ শেষে জাকের আলী বলেন, “এটা কিছুটা বিস্ময়কর ছিল, কিন্তু আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। বোলিংয়ে পুরো কৃতিত্ব ছেলেদেরই যায়, দশ ওভারের পর তারা দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে। অনেক কিছু শিখেছি, আগামীকাল আমাদের আরেকটি ম্যাচ আছে।”
এই ম্যাচে শেখ মেহেদী খেলায়নি, তার জায়গায় দলে খেলেছেন রিশাদ হোসেন। তাসকিন আহমেদও ছিলেন বেঞ্চে, পাকিস্তানের বিপক্ষে তাঁকে খেলানো হতে পারে। অধিনায়ক লিটন সাইড স্ট্রেইনের চোটে জাকেরকে নেতৃত্ব দিতে হয়।
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আরো বলেন, “মনে রাখতে হবে আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে পারি এবং ফাইনালে খেলতে পারি। দেখব কী ধরনের কম্বিনেশনে নামি, তবে আমাদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে।”