ঢাকা, শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫ | ১২ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

ইসরাইল- আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি, নতুন যুদ্ধের ডাক দিলো ইরান!


এনবিএস ডিজিটাল ডেস্ক     প্রকাশিত:  ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:০৯ এএম

ইসরাইল- আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি, নতুন যুদ্ধের ডাক দিলো ইরান!

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর থেকে নিজেদের সামরিক খাত নতুন করে ঢেলে সাজাতে শুরু করেছে ইরান। যুদ্ধে নিজেদের দুর্বল দিকগুলো কাটিয়ে উঠে তারা এখন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে তোড়জোড় শুরু করেছে দেশটি।

সময়ের কাঁটা যত এগোচ্ছে, তেহরান যুদ্ধের জন্য ততই প্রস্তুত হচ্ছে। দখলদার ইসরায়েল এবং আমেরিকার পরবর্তী যেকোনো হুমকির জবাব দিতে তারা এখন পুরোপুরি তৈরি। অস্ত্রের ঝনঝনানি, ক্ষেপণাস্ত্রের গর্জন, এবং সামরিক মহড়ার ঘনঘটা—এই সবই যেন নতুন এক ইরানের আগমনী বার্তা বহন করছে। অতীতের ক্ষতকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে ইরান এখন নিজেদের সামরিক দুর্গ এমনভাবে সাজাচ্ছে যাতে শত্রুপক্ষ যেকোনো আগ্রাসনের আগে দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য হয়।

নিজেদের সামরিক শক্তির ভিত্তি আরও মজবুত হওয়ায় ইসরায়েল ও আমেরিকাকে নতুন করে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। তারা সতর্ক করে বলেছে যে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর মতো ভুল পদক্ষেপ নিলে শত্রুদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) পবিত্র প্রতিরক্ষা সপ্তাহ শুরুর দিনে এক বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারি দেয় আইআরজিসি।

১৯৮০-এর দশকে ইরানের ওপর চাপানো ইরাক যুদ্ধের কথা স্মরণ করে এই প্রতিরক্ষা সপ্তাহটি পালন করা হয়। সেই সময় ইরাক ভেবেছিল তারা খুব দ্রুতই ইরানকে পরাজিত করতে পারবে। 

কিন্তু ইরান তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলায় আট বছর ধরে সেই যুদ্ধ চলে। ওই যুদ্ধে ইরাকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল আমেরিকা এবং তারা সাদ্দাম হোসেনকে পরোক্ষভাবে সমর্থন ও সামরিক সহায়তা দিয়েছিল। এরপরও ইরানকে হারাতে পারেনি ইরাক।

গত জুনে ইসরায়েল ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে আকস্মিক হামলা চালায়। এরপর ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে আমেরিকাও ইরানে হামলা শুরু করে। কিন্তু এই দুই পরাশক্তির হামলায় বিচলিত না হয়ে উল্টো প্রতিরোধ গড়ে তোলে তেহরান। ফলে মাত্র ১২ দিনের মাথায় যুদ্ধ শেষ করতে বাধ্য হয় ইসরায়েল ও আমেরিকা।

আইআরজিসি জোর দিয়ে বলেছে, ইরাক যুদ্ধের ৪৫তম বার্ষিকী এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ইসরায়েল ও আমেরিকা জোটবদ্ধ হয়ে ইরানের ওপর অবৈধভাবে আগ্রাসন চালিয়েছে। তবে ইসরায়েল ও আমেরিকার হামলার পর ইরানের জাতীয় ঐক্য আরও শক্তিশালী হয়েছে। এই হামলায় তারা কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি, বরং মুখ থুবড়ে পড়েছে।