এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০১:০৯ পিএম
তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ও রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেট্রি কাজাগামের সভাপতি থালাপতি বিজয়ের নির্বাচনী সমাবেশ পরিণত হলো এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে। শনিবার করুরে আয়োজিত সমাবেশে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৬ জন, যাদের মধ্যে রয়েছে আট শিশু। আহত হয়েছেন চল্লিশেরও বেশি মানুষ।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দুপুরে সমাবেশে পৌঁছানোর কথা থাকলেও বিজয় প্রায় ছয় ঘণ্টা দেরিতে আসেন। ততক্ষণে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বিশাল জনসমাগম। প্রচণ্ড গরম ও অক্সিজেনের ঘাটতিতে অনেকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
অবস্থা আরও জটিল হয় যখন বিজয় তাঁর বক্তব্য থামিয়ে বিশেষভাবে তৈরি প্রচারণা বাস থেকে সমর্থকদের দিকে পানির বোতল ছুড়ে দিতে থাকেন। সেই সময়ে তাঁর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করা সমর্থকদের একাংশ পড়ে যায়, আর মুহূর্তেই শুরু হয় পদদলনের ভয়াবহ দৃশ্য।
পুলিশ জানিয়েছে, হঠাৎ ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সও ভিড়ের মধ্যে আটকে পড়ে। ফলে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনার পর প্রশাসন জরুরি সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে এবং আহতদের স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বিজয় শোক প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাগাম (ডিএমকে) নেতা ও মুখপাত্র সারণান আনন্দুরাই এই দুর্ঘটনার জন্য সরাসরি বিজয় ও তাঁর সমাবেশের আয়োজকদের দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, মানুষকে তপ্ত রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করানো হয়েছিল, যা মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত।
আনন্দুরাই বলেন, “আমরা সমস্যাটা এখানেই দেখছি। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। প্রায় ছয় ঘণ্টা দেরি করানো হয় যেন আরও ভিড় জড়ো হয়। এটা ছিল আয়োজকদের সস্তা চাল, আর এর ফলেই ঘটেছে ফৌজদারি গাফিলতি।”
এই মর্মান্তিক ঘটনা শুধু তামিলনাড়ুতেই নয়, গোটা দেশেই তীব্র আলোড়ন তুলেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে—ভিড় নিয়ন্ত্রণের গাফিলতি আর অপ্রস্তুত আয়োজনের দায় কার কাঁধে পড়বে?