ঢাকা, রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫ | ১৩ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

ইরানের সস্তা ও মারাত্মক শাহেদ ড্রোন নকলের দৌড়ে নামলো আমেরিকা, চীন ও পশ্চিমা শক্তি


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:০৯ পিএম

ইরানের সস্তা ও মারাত্মক শাহেদ ড্রোন নকলের দৌড়ে নামলো আমেরিকা, চীন ও পশ্চিমা শক্তি

বিশ্বজুড়ে এখন যুদ্ধক্ষেত্রে এক নতুন দৌড় শুরু হয়েছে—সস্তা, কার্যকর এবং মারাত্মক ড্রোন তৈরি করার প্রতিযোগিতা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকা, চীন, ফ্রান্স, ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের বড় শক্তিগুলো ইরানের উন্নত “শাহেদ” ড্রোন কপি করার চেষ্টা করছে

কারণ? ইউক্রেন যুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত, এই ইরানি শাহেদ ড্রোন কতটা ভয়ঙ্কর এবং কার্যকর হতে পারে। রাশিয়া এই ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনে ধ্বংসাত্মক আক্রমণ চালিয়েছে। ফলে আমেরিকা ও তার মিত্ররা এখন এই ধরনের সস্তা কিন্তু দূরপাল্লার ড্রোন তৈরি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে আগে যেসব ড্রোন তৈরি করতে বিপুল অর্থ খরচ হতো, শাহেদ সেই সমীকরণ বদলে দিয়েছে। কিছু হিসাব অনুযায়ী, ইরানি শাহেদ ড্রোনের দাম তুলনামূলকভাবে কম হলেও এর পরিসর অবিশ্বাস্য—এটি দেড় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। শুধু তাই নয়, শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে এবং ফাঁকি দিতে এটি অত্যন্ত দক্ষ।

নেদারল্যান্ডসের বিমান ও মহাকাশ বাহিনীর কমান্ডার আন্দ্রে স্টোর এ প্রসঙ্গে বলেন—
“ইউক্রেন যুদ্ধ দেখিয়েছে, সাশ্রয়ী ও দীর্ঘপাল্লার ড্রোন ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য কতটা অপরিহার্য। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো এখনো এই দিক থেকে পিছিয়ে আছে। কারণ কার্যকর সামরিক ড্রোন বানাতে বিপুল অর্থ ও সময়ের প্রয়োজন।”

বর্তমানে আমেরিকা, চীন, ফ্রান্স, ইংল্যান্ডের বহু কোম্পানি শাহেদের মতো ড্রোন নিয়ে গবেষণা করছে। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনও অন্তত দুই বছর ধরে রাশিয়ার ওপর দীর্ঘপাল্লার ড্রোন হামলা চালাচ্ছে এবং সম্প্রতি শাহেদের মতো ড্রোনও ব্যবহার শুরু করেছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলো এখনো এ প্রতিযোগিতায় অনেক পিছিয়ে আছে। তাদের প্রধান বাধা হচ্ছে উচ্চ ব্যয় এবং প্রযুক্তিগত জটিলতা। অন্যদিকে ইরানের শাহেদ ড্রোন ইতিমধ্যেই বিশ্বে আলোচিত এক নাম, যা যুদ্ধক্ষেত্রে ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।