এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম
অবশেষে জল্পনাই সত্যি হলো—ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নতুন সভাপতি হচ্ছেন মিঠুন মনহাস। রবিবার মুম্বইয়ে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় তাঁর নাম অনুমোদন দেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীরের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার বোর্ডের ৩৭তম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন। যদিও প্রথম শ্রেণির বেশিরভাগ ম্যাচই তিনি খেলেছেন দিল্লির হয়ে।
সভাপতি হওয়ার প্রক্রিয়াটাও ছিল একেবারেই সহজ। গত রবিবার মুম্বইয়ে বোর্ডের সদর দফতরে মনোনয়ন জমা দেন মনহাস। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ প্রার্থী না থাকায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কিংবা রজার বিন্নীর মতো আন্তর্জাতিক পরিচিতি নেই মনহাসের। দেশের হয়ে খেলার সুযোগও মেলেনি কখনও। তবে ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, পুণে ওয়ারিয়র্স এবং চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলার সুবাদেই তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন। তাই বিসিসিআইয়ের সর্বোচ্চ আসনে বসা অনেককেই বিস্মিত করেছে।
৪৫ বছর বয়সী মনহাস অবশ্য ক্রিকেট প্রশাসনে অভিজ্ঞ। তিনি জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে (জেকেসিএ) প্রশাসনিক পদে কাজ করেছেন এবং একাধিকবার বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সভায় রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তিনি ছিলেন দিল্লির মিডল অর্ডারের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ১৫৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন, করেছেন ৯,৭১৪ রান—যার মধ্যে ২৭টি শতরান ও ৪৯টি অর্ধশতক। ব্যাটিং গড় ছিল ৪৫.৮২। শুধু তাই নয়, হাত ঘুরিয়ে ৪০টি উইকেটও নিয়েছিলেন।
২০০৭-০৮ মৌসুমে অধিনায়ক হিসাবে দিল্লিকে রঞ্জি ট্রফি শিরোপা এনে দেন মনহাস। সেই মৌসুমে তিনি একাই করেছিলেন ৯২১ রান, গড় ছিল ৫৭.৫৬। বিরাট কোহলিও খেলেছিলেন তাঁর নেতৃত্বে।
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে মনহাস কোচিংয়ে আসেন। ২০১৭ সালে তিনি পাঞ্জাব কিংসের সহকারী কোচ হন। পরে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে এবং সর্বশেষ গুজরাত টাইটান্সে সহকারী কোচের দায়িত্ব সামলান তিনি।