ঢাকা, সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫ | ১৪ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসা ফি বৃদ্ধিতে কানাডা পাচ্ছে দক্ষ কর্মীদের আকর্ষণের সোনালি সুযোগ


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসা ফি বৃদ্ধিতে কানাডা পাচ্ছে দক্ষ কর্মীদের আকর্ষণের সোনালি সুযোগ

যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় এইচ-১বি ভিসার আবেদনের ফি হঠাৎ করে বাড়ানোর পর, কানাডাকে এই সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন আইনজীবী ও ব্যবসায়িক বিশেষজ্ঞরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার মাধ্যমে এইচ-১বি ভিসার আবেদন ফি এক লাখ ডলারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত ফি না দিলে আবেদনকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। এর আগে এই ভিসার জন্য ৫ হাজার ডলার দিয়েই আবেদন করা যেত।

এই পরিবর্তনের ফলে অনেক প্রতিভাবান কর্মী যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার সুযোগ থেকে পিছিয়ে পড়তে পারেন। আর এ সুযোগকে কাজে লাগানোর দিকে মনোযোগী কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। নিউইয়র্ক সিটিতে কনসিল অফ ফরেন রিলেশনসের সামনে ভাষণে তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের দেশের প্রতিভা বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নীতি পরিবর্তন আমাদের জন্য সুযোগ হতে পারে।”

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যারা কানাডার দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন, তাদেরকে দেশের অভিবাসন নীতি ও নিয়মাবলীর সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হতে পারে। ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি আবেদনকারীর মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ ছিলেন কানাডিয়ান।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বর্তমান এইচ-১বি ভিসাধারীরা এই নতুন পরিবর্তনের আওতায় পড়বেন না। তবে নতুন নিয়ম উচ্চশিক্ষিত বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগকে সীমিত করতে পারে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক গ্র্যাজুয়েটদের জন্য এটি বড় চ্যালেঞ্জ।

কানাডার অভিবাসন আইনজীবী ইভান গ্রিন বলেন, “এটি কানাডার সরকারের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ।” দেশের অলাভজনক সংস্থা ‘বিল্ড ক্যানাডা’ সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এইচ-১বি ভিসা পরিবর্তনের কারণে অনেক দক্ষ ও উচ্চ বেতনের পেশাজীবী নতুন গন্তব্য খুঁজছেন, এবং কানাডা তাদের জন্য প্রাকৃতিক পছন্দ।

সংস্থার ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি অবস্থান, বিশ্বমানের গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং উচ্চমানের জীবনযাত্রার কারণে কানাডাই এখন স্বাভাবিক গন্তব্য। তবে অর্থনীতিবিদ মিকাল স্কুটেরুদ সতর্ক করেছেন, দক্ষ কর্মীদের আকৃষ্ট করতে কানাডাকে অভিবাসন ব্যবস্থার সংস্কারসহ আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।