ঢাকা, মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫ | ১৪ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

নাকভি ট্রফি নিয়ে চলে গেলেন, ভারতের জয়ের উদযাপন রয়ে গেল কল্পনায়ই অব্যাহত


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম

নাকভি ট্রফি নিয়ে চলে গেলেন, ভারতের জয়ের উদযাপন রয়ে গেল কল্পনায়ই অব্যাহত

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে নবমবারের মতো শিরোপা জিতেছে ভারত। রিংকু সিংয়ের জয়সূচক শট দিয়ে শেষ হয় ম্যাচ। কিন্তু আসল নাটক তখনও বাকি ছিল। ট্রফি হাতে ওঠার মুহূর্তে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি মোহসীন নাকভি নিজেই ট্রফি নিয়ে স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যান। ফলে ভারতীয় ক্রিকেটাররা শিরোপি ছুঁতে পারলেন না।

ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ভারতীয় দল ছিল উচ্ছ্বসিত। রিংকু, শুভমান গিল, কুলদীপ যাদব ও বোলিং কোচ মর্নে মর্কেল টেলিভিশনের সামনে হাসিমুখে কথা বললেন। দর্শকরাও অপেক্ষায় ছিলেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের হাতে ট্রফি উঠার জন্য। কিন্তু এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মঞ্চে কোনো ট্রফি এল না। হঠাৎ ঘোষক সাইমন ডুল ঘোষণা করলেন, “আজ ভারত দল ট্রফি গ্রহণ করবে না।”

এরপরের ঘটনা আরও অদ্ভুত। পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা হেরে গিয়েও অলস ভঙ্গিতে দেরি করে মঞ্চে আসেন, ফ্লিপ-ফ্লপ পরে হাঁটতে হাঁটতে। দর্শকরা প্রবলভাবে প্রতিক্রিয়া জানালেন। রানার-আপ চেকটিও পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা প্রকাশ্যে ছুড়ে ফেললেন। আর নাকভি ছিলেন একেবারেই অসহায় দর্শকের মতো।

নাটক চূড়ান্ত রূপ নেয় যখন ভারতীয় দলকে ট্রফি দেওয়ার পালা আসে। দর্শকের চোখে-মুখে অপেক্ষার ছাপ। ভারত দলের অস্বীকৃতির কারণে নাকভি হঠাৎ ট্রফি নিয়ে মঞ্চ ছেড়ে চলে যান। বিজয়ী ভারতীয়রা বসে থাকলেন খালি হাতে, ট্রফিবিহীন। সমর্থকরা এবং দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে—“অসুন্দর”, “বিব্রতকর”। শেষে ভারত দল কল্পিত ট্রফি নিয়ে উদযাপন করল।

পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে ঘিরে উত্তেজনা ও বিতর্ক চলছিল। কখনও হাত মেলাতে অস্বীকৃতি, কখনও রাজনৈতিক ইঙ্গিতবাহী অঙ্গভঙ্গি; সব মিলিয়ে এশিয়া কাপ ২০২৫ ইতিহাসে সবচেয়ে কদর্য টুর্নামেন্টের মধ্যে গণ্য হবে। ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের তিক্ততাকেও ছাড়িয়ে গেল এবারের তিন সপ্তাহের বিব্রতকর নাটক।

শেষ পর্যন্ত ভারত জিতেছে রেকর্ড নবমবারের মতো এশিয়া কাপ। কিন্তু শিরোপা উদযাপনের সেই মুহূর্তটি হারিয়ে গেল রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে। বিজয়ী দলকে খালি হাতে ফিরে যেতে হলো হোটেলে; যেন ক্রিকেট নয়, রাজনীতি ও নাটকই জিতল ফাইনালের রাতে।