ঢাকা, মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫ | ১৪ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

মা হয়েও থামেননি আলিয়া ভাট, মুগ্ধ বাবা মহেশ ভাট জানালেন অবিশ্বাস্য গল্প ও গর্ব


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম

মা হয়েও থামেননি আলিয়া ভাট, মুগ্ধ বাবা মহেশ ভাট জানালেন অবিশ্বাস্য গল্প ও গর্ব

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাট** এক যুগের ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য হিট সিনেমা। তিনি নিজেকে বারবার ভেঙে নতুনভাবে গড়ে তুলেছেন, আর সেজন্যই পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা স্বীকৃতি। সংসার ও ক্যারিয়ার—দুই দিকই সামলে অসাধারণ দক্ষতা দেখাচ্ছেন তিনি। আর সেই কারণেই কন্যা আলিয়াতে মুগ্ধ বাবা, খ্যাতিমান পরিচালক মহেশ ভাট।

হিউম্যানস অব বম্বেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মহেশ ভাট জানালেন, মা হওয়ার পরও আলিয়ার কাজের প্রতি আগ্রহ একটুও কমেনি। তিনি বলেন—
“আলিয়া আমাকে চমকে দিয়েছে। আমি ভাবিনি, মা হওয়ার পরও ও এতটা মনোযোগী থাকবে। ‘হাইওয়ে’, ‘উড়তা পাঞ্জাব’-এর মতো ছবিতেই আলিয়া আমাকে অবাক করেছিল। আমি মেরিল স্ট্রিপের বড় অনুরাগী। আলিয়াকে বলেছিলাম, ওর কাজ দেখো—তাহলে বুঝবে তুমি এখনো এই শিল্পের সামান্য অংশই স্পর্শ করেছ।”

মহেশ ভাট আরও বলেন, “আলিয়া রণবীরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে। এরপরও ওর ক্যারিয়ার থেমে যায়নি। মা হয়েছে, তবুও প্রতিদিন কাজ করছে। সম্প্রতি মেয়ে রাহাকে নিয়ে মিলানে গুচির ইভেন্টে গিয়েছিল আলিয়া। এমনকি আমি আলিয়া ও অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। সেখানে রাহার জন্য আলাদা ভ্যানিটি ভ্যান ছিল।”

তিনি হাসতে হাসতে বলেন, “আলিয়া আমাকে বলেছিল—‘বাবা, তুমি রাহার ঘরে গিয়ে বসো না কেন?’ আমি বললাম, ‘না না, আমি ওই ঘর কলুষিত করতে চাই না।’ জায়গাটা অনেকটা নার্সারির মতো, যেন একটা মন্দির। আমি বলেছিলাম, বুড়ো মানুষের বসার জায়গা ওটা না। এটাই হলো নতুন প্রজন্মের নায়িকারা—তারা কাজ করে, সন্তান লালন-পালন করে, আবার সন্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ইভেন্টেও যায়।”

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে আলিয়া ভাট ও রণবীর কাপুরের প্রেম শুরু হয়। দীর্ঘদিনের আলোচনার পর ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের পালি হিলসের রণবীরের বাড়ি ‘বাস্তু’-তে বিয়ে করেন তারা। ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর আলিয়া ও রণবীরের ঘর আলো করে জন্ম নেয় কন্যা সন্তান রাহা।

এখন ভক্তদের অপেক্ষা আলিয়ার নতুন সিনেমা ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’, যেখানে স্বামী রণবীর কাপুরের বিপরীতে তাকে দেখা যাবে। ছবিটি পরিচালনা করছেন সঞ্জয় লীলা বানসালি।