ঢাকা, মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫ | ১৪ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

চিরজীবন্ত ঢাকাই অভিনেতা প্রবীর মিত্রের স্মৃতিকে ধরে রাখার নতুন ডিজিটাল উদ্যোগ


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম

চিরজীবন্ত ঢাকাই অভিনেতা প্রবীর মিত্রের স্মৃতিকে ধরে রাখার নতুন ডিজিটাল উদ্যোগ

ঢাকাই সিনেমার অমলিন নাম প্রবীর মিত্র। চার দশকের বেশি সময় ধরে পর্দায় তিনি হয়ে উঠেছেন পিতৃসুলভ চরিত্রের মমতা, কঠোরতার প্রতীক এবং জীবনের ছায়াঘেরা বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারিএই কিংবদন্তি অভিনেতা চিরবিদায় নিয়েছেন, তবে তার আলো নিভেনি। সেই আলো নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই শুরু হলো নতুন উদ্যোগ—অ্যাক্টর প্রবীর মিত্র’ নামে একটি ওয়েবসাইট।

সাইটটিতে স্থান পেয়েছে তার শৈশব, বেড়ে ওঠা, অভিনয় ক্যারিয়ারের নানা অধ্যায়এবং অদেখা অনেক স্থিরচিত্র। এটি এক ধরনের ডিজিটাল অ্যালবাম, যেখানে সিনেমার বাইরে প্রবীর মিত্রর আরেকটি জীবন দর্শক দেখতে পাবেন।

সম্প্রতি বিএফডিসিতে আয়োজিত ‘স্মৃতির আয়নায় কিংবদন্তির দৃশ্য’ অনুষ্ঠানে এই উদ্যোগের ঘোষণা দেন প্রয়াত অভিনেতার ছেলে মিথুন মিত্র। আবেগঘন কণ্ঠে তিনি বলেন, “ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই এখনো আমার বাবাকে মনে রেখেছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। বাবাকে নিয়ে আমাদের আরো অনেক পরিকল্পনা আছে। এরই অংশ হিসেবে ওয়েবসাইট চালু হলো।”

১৯৪১ সালে জন্ম নেওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাটকে মুগ্ধ ছিলেন। ১৯৭১ সালে ‘জলছবি’দিয়ে শুরু হয় তার সিনেমা যাত্রা। এরপর টানা **চার দশকেরও বেশি সময় তিনি আলো ছড়িয়েছেন অসংখ্য সিনেমায়।

তার অভিনীত কালজয়ী সিনেমার তালিকায় রয়েছে—‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’প্রভৃতি।

প্রবীর মিত্র আর নেই, কিন্তু রয়ে গেছে তার স্মৃতিভাণ্ডার এবং শিল্পীপ্রাণ দর্শকের ভালোবাসা। সেই ভালোবাসাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতেই এই ডিজিটাল উদ্যোগ। এটি যেন প্রবীর মিত্রকে মনে রাখার এক অনন্য উপায়।