এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:০৯ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আজ সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। এ বছরের চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠককে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্ব কৌতূহলে তাকিয়ে আছে। মূল আলোচ্য বিষয় হবে দুই বছরের গণহত্যামূলক যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজার ভবিষ্যত এবং সেখানে নতুন প্রশাসন ও পুনর্গঠনের পরিকল্পনা। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এই বৈঠকে গাজাবাসীর ভাগ্যও নির্ধারিত হতে পারে।
রোববার ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে কিছু মহৎ কাজ করার সুযোগ আছে। যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বৈঠকে স্পেশাল কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে।
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক আলোচনায় গাজা ও ফিলিস্তিন ইস্যুটি প্রধান বিষয় ছিল। ইতোমধ্যে নেতানিয়াহু ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন, ইসরায়েল ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করছে যাতে নতুন পরিকল্পনা কার্যকর করা যায়। বিভিন্ন ইসরায়েলি ও পশ্চিমা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিকল্পনায় হামাসকে দুই দিনের মধ্যে গাজায় থাকা বাকি ৪৮ বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে, যার মধ্যে প্রায় ২০ জন জীবিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিকল্পনায় আরও বলা হয়েছে, হামাস যোদ্ধাদের গাজা ত্যাগ করতে দেওয়া হবে অথবা প্রতিরোধ ত্যাগ করলে তাদের ক্ষমা দেওয়া হবে। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত এলাকায় মানবিক সাহায্য প্রবেশ করতে দেওয়া হবে, কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে ইসরায়েলি সামরিক কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইসরায়েলি সেনারা ধীরে ধীরে সরে যাবে।
ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে রোববার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর ও কাতার থেকে নতুন কোনো প্রস্তাব পাননি, যদিও ট্রাম্পের প্রস্তাব দু’দেশকেই পৌঁছে গেছে। হামাসও যুদ্ধ শেষ করার জন্য নতুন প্রস্তাব বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে। তবে তাদের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডস সতর্ক করেছে, গাজা সিটিতে দুই ইসরায়েলি বন্দিকে ধরে রাখায় দলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
এ সময় ইসরায়েল স্থল অভিযান ও আকাশ হামলা বাড়িয়েছে, যা প্রতিদিন ডজনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিকের মৃত্যু ঘটাচ্ছে এবং এলাকায় ধ্বংস বৃদ্ধি করছে।
বিশ্বজুড়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধের জোর দাবি উঠেছে। এমন সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দুই শীর্ষ নেতার বৈঠক বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যদিও নেতানিয়াহু যুদ্ধ বন্ধে খুব আগ্রহী নন, তবু যদি ট্রাম্প তাঁকে চাপ দেন, তাহলে গাজা যুদ্ধের সম্ভাব্য সমাপ্তি আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।