ঢাকা, মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫ | ১৫ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবকে সমর্থন জানালেন নেতানিয়াহু — গাজার যুদ্ধ শেষের আশা জাগল বিশ্বজুড়ে


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:০৯ পিএম

ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবকে সমর্থন জানালেন নেতানিয়াহু — গাজার যুদ্ধ শেষের আশা জাগল বিশ্বজুড়ে

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু—এই খবর জানায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

সোমবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সঙ্গে এক সভা শেষে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, “আমি গাজায় যুদ্ধের ইতি টানতে আপনার পরিকল্পনা সমর্থন করি।” তিনি পাশাপাশি জানিয়েছেন, প্রস্তাব মেনে নিলে গাজায় যুদ্ধ থামানো সম্ভব; আর যদি হামাস প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে ইসরায়েল নিজের লক্ষ্য পূরণে এগোবে—“সহজ পথে কিংবা কঠিন পথে”।

নেতানিয়াহু সংবাদ সম্মেলনে গাজার জন্য শরণ ও শান্তি স্থাপনের ধাপগুলোও ব্যাখ্যা করেন। প্রথম ধাপে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েল আংশিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে। পরবর্তী পর্যায়ে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠন করে হামাসকে পুরোপুরি নিরস্ত্রীকরণ ও গাজাকে সামরিকীকরণমুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমনটাই প্রস্তাবে বলা হয়েছে।

ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন, তার ২০ দফার পরিকল্পনায় বন্দিদের মুক্তি, ধাপে ধাপে ইসরায়েলি প্রত্যাহার এবং একটি অন্তর্বর্তী আন্তর্জাতিক শাসন কাঠামো রয়েছে। তিনি বলেন, যদি হামাস এই প্রস্তাবে সম্মত হয়, তাহলে বন্দিরা মুক্তি পাবে এবং যুদ্ধ শীঘ্রই শেষ হবে। তবে হামাস কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেবে তা এখনও অনিশ্চিত।

প্রসঙ্গত, প্রস্তাবটি গাজার পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ ও আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে পুনর্গঠনের কথা বলছে; এতে হোস্টেজ-প্রক্রিয়া, পর্যায়ক্রমিক কারাগার মুক্তি এবং মানবিক সহায়তার ব্যাপারও আছে। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন—প্রস্তাবটি কাগজে যতই বিশদ দেখাক না কেন, বাস্তবায়ন ও হামাসের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত না হলে এর উপকার-ক্ষতি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে।

ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু তাদের বক্তব্যে অঞ্চলরাজনীতিও উঁকি দিয়েছেন—ইরান, আব্রাহাম চুক্তি এবং আরব-মুসলিম দেশের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তারা বলেন, আরব ও মুসলিম দেশগুলো গাজাকে সামরিকীকরণমুক্ত করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে এবং একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের সময়সীমা নির্ধারিত হবে।

শেষ পর্যন্ত, এই যৌথ ঘোষণা একদিকে আশা জাগাচ্ছে—বন্দিদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে—অপরদিকে বাস্তবতায় হামাসের চূড়ান্ত সাড়া ছাড়া কোনো নিশ্চয়তা নেই। আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও ময়দানের বাস্তবতার সমন্বয় না ঘটলে প্রস্তাবটি কতদূর কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।