ঢাকা, মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫ | ১৫ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের পরিবার ও অর্থনীতি বিপর্যয়ে! নেতানিয়াহু কি ব্যবস্থা নেবেন?


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:০৯ পিএম

গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের পরিবার ও অর্থনীতি বিপর্যয়ে! নেতানিয়াহু কি ব্যবস্থা নেবেন?

 

পার্সটুডে ও ইসরায়েল হায়োমের প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে গাজা যুদ্ধ ইসরায়েলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভাজনকে আরও তীব্র করছে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই যুদ্ধে দ্রুত সমাধান না আনেন, তাহলে অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে সামাজিক সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করবে।

ইহুদিবাদী পরিসংখ্যান কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রিজার্ভ বাহিনীতে কর্মরত প্রায় অর্ধেক দম্পতি** বলেছেন, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তাদের পারিবারিক সম্পর্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমান্তরাল পর্যবেক্ষণের তথ্য দেখায়, দীর্ঘমেয়াদী সামরিক চাকরি এবং রিজার্ভ বাহিনীতে নিয়মিত উপস্থিতির কারণে **পিতামাতা ও সন্তান, স্বামী-স্ত্রীদের মধ্যে দীর্ঘ বিচ্ছেদ সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধের কারণে পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে এবং পরিবারগুলো যুদ্ধের জন্য চরম মূল্য দিচ্ছে। ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, যদি সামাজিক সহনশীলতা ভেঙে পড়ে, তাহলে পুরো অধিকৃত অঞ্চলের মানুষকে এর মূল্য দিতে হবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে মানসিক ও পারিবারিক সংকট* বৃদ্ধি পেয়েছে। বিচ্ছেদ, আত্মহত্যা এবং ত্যাগের ঘটনা বেড়েছে। যদিও সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিক বিবাহবিচ্ছেদের পরিসংখ্যান প্রকাশে অনীহা দেখিয়েছে, তবুও দেখা যায় যে যুদ্ধ এবং সামরিক চাপ কেবল সৈন্যদের নয়, তাদের পরিবারকেও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও গুরুতর। অধিকৃত অঞ্চলে বেকারত্ব বেড়েছে, চাকরি বন্ধ হয়েছে এবং মোট দেশজ উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। বিনিয়োগ কমেছে এবং প্রযুক্তি খাত ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা দ্রুত অঞ্চল থেকে চলে যাচ্ছে।

নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা ও চরমপন্থী ইহুদিবাদীদের নিঃশর্ত সমর্থন মন্ত্রিসভা এবং অন্যান্য দলের মধ্যে প্রচণ্ড মতবিরোধ তৈরি করেছে। বিরোধী নেতারা গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ এবং অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবেলার আহ্বান জানিয়েছেন।

অর্থনৈতিক সংকট, সেনাবাহিনীর হতাহতের ঘটনা এবং জনসাধারণের অবিশ্বাসের কারণে তেল আবিব ও অন্যান্য শহরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্ষোভকারীরা গাজা যুদ্ধে অবসান দাবি করছেন। নেতানিয়াহু নিজেও “ক্রমবর্ধমান বিচ্ছিন্নতা” স্বীকার করেছেন এবং সতর্ক করেছেন যে এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আরও জটিল হবে।

সারসংক্ষেপে, গাজা যুদ্ধ ইসরায়েলের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট বাড়াচ্ছে। অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে এই পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদে শাসনব্যবস্থার অভ্যন্তরীণ ভিত্তির জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।

---