এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:১০ পিএম
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাধারণ পরিষদের নির্বাচন আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ১ অক্টোবর। এই দিনে সকাল সোয়া ১০টার দিকে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এসে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তামিম ইকবাল। এছাড়া নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান আরও ১৪ জন কাউন্সিলর।
এর আগে, তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট থেকে উঠে আসা বিতর্কিত ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলর বা প্রতিনিধির নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। মূলত সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানিতে এই আদেশ দেন আদালত।
এরপরই তামিমের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর গুঞ্জন তৈরি হয়, যা বুধবার সত্যি হয়েছে। এদিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পেছনে কোনো কারণ উল্লেখ না করলেও তামিম বলেছেন, "এই নির্বাচন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য একটা কালো দাগ হয়ে রইলো।" তিনি এবারের বিসিবি নির্বাচনের সমালোচনায় ‘ফিক্সিং’ বা পাতানো নির্বাচন আখ্যা দিয়েছেন।
তামিমের এমন বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া। তিনি যমুনা টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে উল্টো তামিমপন্থীদের ‘ফিক্সার’ আখ্যা দিয়েছেন। এছাড়া দায়িত্বরত বিভিন্ন কর্মকর্তাদেরও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, "ফিক্সিংটা তামিম ভাইরা করার চেষ্টা করেছেন, করে ব্যর্থ হয়েছেন। সভাপতি, সেক্রেটারি ও ডিসি-দেরকে কল দিয়ে বলা হয়েছে কাউন্সিলর দিতে হবে, হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তবুও তারা ব্যর্থ হয়েছেন।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলিকেও ফোন করা হয়েছে। বিরাট কোহলি এরপর বিষয়টি কোচ গৌতম গম্ভীর-কে জানিয়েছেন। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা পুরো বিষয়টিকে লজ্জাজনক আখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, "কেউ একজন ফোন করে বিরাট কোহলিকে অভিযোগ দিয়েছে এবং তিনি তা গৌতম গম্ভীর বা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। এ ধরনের অভিযোগ দেশের জন্য লজ্জাজনক এবং কোথাও জমা দেওয়া উচিত নয়।"