এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর, ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
শেষ বাঁশি বাজতেই লুইস কম্পানিস স্টেডিয়াম নীরব হয়ে যায়, আর প্যারিসের সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। বুধবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে গনসালো রামোসের শেষ মুহূর্তের দুর্দান্ত গোলে বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারাল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)।
এই জয়ের মাধ্যমে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় বার্সার মাঠে টানা তৃতীয়বারের মতো জয় পেল ফরাসি জায়ান্টরা, যা আগে কোনো ক্লাব করতে পারেনি।
ম্যাচের শুরুতেই দারুণ ছন্দে ছিল কাতালানরা। মাত্র ১৯ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ভিতিনহার ভুল পাস কাটিয়ে বল পায় লামিন ইয়ামাল। সেখান থেকে সমন্বয়ে বল যায় পেদ্রির কাছে। তার ছোঁয়া থেকে পেল মার্কাস র্যাশফোর্ড। আর শেষ পর্যন্ত চমৎকার স্লাইডিং ফিনিশে গোল করেন ফেরান তোরেস। এই গোলের সঙ্গে তোরেস নতুন ক্লাব রেকর্ডও গড়েন—টানা ৪৫ ম্যাচে গোল।
তবে লুইস এনরিকের শিষ্যরা ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে আসে। বিরতির আগে সাত মিনিটে নুনো মেন্ডেসের দুর্দান্ত দৌড়ে সুযোগ কাজে লাগান ১৯ বছর বয়সী সেনি মাইউলু। পাউ কুবারসির দুর্বল ক্লিয়ারেন্স কাটিয়ে বাঁ পায়ের আত্মবিশ্বাসী শটে গোল করে সমতায় ফেরান তিনি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্র্যাডলি বারকোলা সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে পিএসজি বিরতির আগে এগিয়ে যেতে পারত।
দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দলই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বারকোলার শট ঠেকান বার্সার গোলরক্ষক শেজনি। অন্যদিকে দানি ওলমোর শট গোলমুখে ব্লক করেন হাকিমি। খেলার শেষ ভাগে লি কাং-ইনের জোরালো শট বারে লেগে ফিরে আসে। তখনো মনে হচ্ছিল, ম্যাচ হয়তো ড্রয়েই শেষ হবে।
কিন্তু শেষ হাসি হাসল এনরিকের পিএসজি। যোগ করা সময়ে হাকিমির নিখুঁত পাসে বার্সার ডিফেন্স ভেঙে যায়। আর সেখান থেকে বদলি হিসেবে নামা গনসালো রামোস দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করেন। ফলে ২-১ গোলে জয় নিশ্চিত হয় ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের।
এই জয় শুধু তিন পয়েন্ট নয়, ইতিহাসও। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার মাঠে তিনবার জয় পাওয়া প্রথম দল হলো পিএসজি। কোচ লুইস এনরিকের জন্যও এ জয় বিশেষ, কারণ একসময় তিনি নিজেই বার্সেলোনার দায়িত্বে ছিলেন।