এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৩ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:১০ পিএম
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দিকে এগোচ্ছে সুমুদ ফ্লোটিলার শেষ জাহাজ ‘দ্য ম্যারিনেট’। ইসরায়েলি নৌবাহিনী ইতোমধ্যেই বহরের অন্য সব জাহাজ আটক করেছে, কিন্তু এই একটি জাহাজ এখনো তাদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ফলে, আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তার প্রতীক হিসেবে এটি এখন দাঁড়িয়েছে এক অনন্য প্রতিরোধের চিহ্ন হয়ে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পোল্যান্ডের পতাকাবাহী ‘দ্য ম্যারিনেট’ গাজার উপকূল থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। জাহাজটিতে রয়েছেন ছয়জন মানবাধিকারকর্মী, যারা গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই অভিযানে যোগ দিয়েছেন।
সুমুদ ফ্লোটিলা মূলত কয়েক ডজন জাহাজ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, গাজার অবরুদ্ধ জনগণের কাছে সরাসরি সহায়তা পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী ইতোমধ্যেই ৪৪টির মধ্যে ৪৩টি জাহাজ আটক করেছে এবং শত শত মানবাধিকারকর্মীকে আশদোদ বন্দরে নিয়ে গেছে। পরে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় কেবল ‘দ্য ম্যারিনেট’ এখনো গাজার উদ্দেশে ছুটে চলছে।
যাত্রাপথে একবার যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়লেও ক্রুরা দ্রুত সমস্যার সমাধান করেন। বর্তমানে এটি ২.১৬ নটিকাল মাইল গতিতে এগোচ্ছে গাজার দিকে এবং বাইরের বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করছে।
মানবাধিকারকর্মীরা মনে করছেন, যদি এই জাহাজ গাজায় পৌঁছাতে পারে, তবে এটি হবে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য এক প্রতীকী বিজয়। তবে আন্তর্জাতিক মহলে শঙ্কাও রয়েছে—শেষ মুহূর্তে ইসরায়েলি নৌবাহিনী জাহাজটি আটকাতে পারে।
বিশ্বজুড়ে এখন দৃষ্টি নিবদ্ধ ‘দ্য ম্যারিনেট’-এর যাত্রাপথের দিকে, যা শুধু একটি ত্রাণ জাহাজ নয়, বরং গাজার অবরুদ্ধ মানুষের আশা ও সাহসের প্রতীক হয়ে উঠেছে।