এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৩ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার ২০ দফা প্রস্তাবকে সরাসরি ‘হুমকি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই প্রস্তাবকে শান্তিচুক্তি নয় বরং ফিলিস্তিনিদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করার প্রয়াস হিসেবে দেখা উচিত।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক ফেসবুক পোস্টে মাহাথির লিখেছেন, এ প্রস্তাব মূলত হামাসকে কোনো বিকল্প ছাড়াই চার দিনের মধ্যে মেনে নিতে বলেছে—অথচ না মানলে গণহত্যা আরও ভয়াবহ হবে বলে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। ফলে এটি কোনো ন্যায্য শান্তি প্রস্তাব নয়, বরং এক ধরনের আত্মসমর্পণের আলটিমেটাম।
মাহাথিরের মত অনুযায়ী, ট্রাম্প ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যৌথভাবে এই রূপরেখা তৈরি করেছেন, যার উদ্দেশ্য বলে তিনি মনে করেন—ফিলিস্তিনিদের ক্ষমতা ছিন্ন করা এবং ইসরাইলের দখলবাদী পরিকল্পনাকে এগিয়ে নেওয়া।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যদি এখনই আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়, তাহলে ফিলিস্তিনিদের বেদনাদায়ক ত্যাগ এবং গাজার ধ্বংসাবশেষ সবই বৃথা হয়ে যাবে। মহাত্মা ও মানুষের জীবন নাশের আখ্যানকে যেন পরিণত করা হচ্ছে শূন্যে।
মাহাথির ট্রাম্পকে শান্তির দূত হিসেবে দেখেননি—বরং তাকে চাপ প্রয়োগকারী ও হুমকি দিয়ে সমাধান চাপিয়ে দেওয়ার অভ্যস্ত নেতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ইস্যুতেও ট্রাম্প সম্পূর্ণ সফল হননি। মাহাথির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যদি হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে গাজায় গণহত্যা আরও তীব্র হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে আরও বেশি সহায়তা প্রদান করবে।
শেষ পর্যন্ত তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, জোর করে শোষণ ও আত্মসমর্পণ চাপানো হলে দীর্ঘমেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠা অসম্ভব হবে, এবং আন্তর্জাতিক সমাজকে এই ধরনের চাপ-ভিত্তিক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে হবে।