এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এতদিন পর্যন্ত মাত্র একটি ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। সর্বোচ্চ রান ছিল ৫৪। গত ম্যাচে করেছিলেন ৪৯ রান, ফিফটির আক্ষেপ রয়ে গিয়েছিল। তবে এবার সব আক্ষেপ মুছে দিলেন দারুণ এক ইনিংসে।
ঢাকা মেট্রোর হয়ে খেলতে নেমে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে নিজের প্রথম স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নিলেন সাদমান ইসলাম। ৬১ বলে ১০১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে এনে দিলেন বিশাল জয়। তার ব্যাটে ভর করে ঢাকা মেট্রো নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ৬ উইকেটে ১৯৭ রান। জবাবে বরিশাল বিভাগ গুটিয়ে যায় মাত্র ১০১ রানে। ফলে ঢাকা মেট্রো জয় পায় বিশাল ৯৬ রানে।
ঝলমলে ইনিংসে মুগ্ধ করলেন সবাইকে
পুরো ম্যাচের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন সাদমান। ব্যাট হাতে উইকেটের চারপাশে দৃষ্টিনন্দন সব শটে তাক লাগিয়ে দেন দর্শকদের। তার ইনিংস সাজানো ছিল ১১ চার ও ৪ ছক্কায়। স্ট্রাইক রেটও দারুণ—১৬৫!
২০১৫ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পথচলা শুরু হলেও এই বাঁহাতি ওপেনার খেলেছেন মাত্র ২১ ম্যাচ। জাতীয় দলে সুযোগ পেলেও বিপিএলে শেষ তিন মৌসুমে জায়গা হয়নি তার। তবে এবার যেন নতুন রূপে ফিরেছেন। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে করেছেন ১৮২ রান, গড় ৪৫।
দুর্দান্ত জুটি গড়লেন মাহফিজুল-সাদমান
ওপেনিংয়ে সাদমানকে সঙ্গ দেন মাহফিজুল ইসলাম রবিন। দুজন মিলে গড়েন বিশাল ১৭৭ রানের পার্টনারশিপ। মাহফিজুলও খেলেন দারুণ ইনিংস—৪৯ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৭৯ রান।
বরিশালের বোলারদের মধ্যে একমাত্র উজ্জ্বল ছিলেন ইফতিকার হোসেন। তিনি ৪ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার হন।
বরিশালের ব্যাটিং ব্যর্থতা
ব্যাট হাতে বরিশালের অবস্থা ছিল করুণ। ওপেনার আজমির সর্বোচ্চ করেন ২৬ রান। ফজলে মাহমুদ ১৬ এবং জাহিদুজ্জামান করেন ১৮ রান। বাকিরা ছিলেন একেবারেই ব্যর্থ। দলটি নিয়মিতই ব্যাটিং সমস্যায় ভুগছে, আর আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
ঢাকা মেট্রোর হয়ে বল হাতে সেরা ছিলেন মারুফ মৃধা। তিনি ১৫ রানে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া আবু হায়দার রনি ও রাকিবুল হাসান প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট।
পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান
এটি ছিল ঢাকা মেট্রোর ৬ ম্যাচে তৃতীয় জয়। অন্যদিকে বরিশালের জন্য এটি সমান ম্যাচে পঞ্চম পরাজয়।