ঢাকা, রবিবার, অক্টোবর ৫, ২০২৫ | ২০ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

ইসরায়েলে গ্রেটা থুনবার্গের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ, পতাকা চুমু দিতে বাধ্য করা হয়


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৫ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:১০ পিএম

ইসরায়েলে গ্রেটা থুনবার্গের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ, পতাকা চুমু দিতে বাধ্য করা হয়

গাজায় ত্রাণবাহী জাহাজে যোগ দিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হন বিশ্বখ্যাত পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ। এবার অভিযোগ উঠেছে, আটক অবস্থায় তাঁকে নির্যাতন ও অপমানজনক আচরণের শিকার হতে হয়েছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলি বাহিনী “সুমুদ ফ্লোটিলা”র সদস্যদের ওপর কঠোর আচরণ করেছে। ওই ফ্লোটিলার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন থুনবার্গ।

ইসরায়েলে আটক হওয়া কর্মীদের মধ্যে ১৩৭ জনকে ইতিমধ্যে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৬ জন তুর্কি নাগরিকও আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তুর্কি কর্মকর্তারা।

তুর্কি সাংবাদিক এরসিন সেলিক, যিনি ফ্লোটিলার সঙ্গেও ছিলেন, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি নিজ চোখে দেখেছি, গ্রেটা থুনবার্গকে টেনে মাটিতে ফেলা হয়েছে এবং তাঁকে ইসরায়েলি পতাকা চুমু দিতে বাধ্য করা হয়েছে।”

একই রকম অভিযোগ তুলেছেন মালয়েশিয়ার কর্মী হাজওয়ানি হেলমি ও মার্কিন অংশগ্রহণকারী উইন্ডফিল্ড বিভার। তারা জানিয়েছেন, থুনবার্গকে ধাক্কা দিয়ে পতাকা হাতে “প্যারেড” করানো হয়, যা ছিল স্পষ্টভাবে অপমানজনক।

হেলমি আরও অভিযোগ করেন, “ইসরায়েলি সেনারা আমাদের পর্যাপ্ত পানি ও ওষুধ দেয়নি।”
ইতালীয় সাংবাদিক লরেঞ্জো আগোস্তিনো বলেন, “গ্রেটা মাত্র ২২ বছরের এক সাহসী তরুণী। তাঁকে অপমান করে ইসরায়েলি পতাকায় জড়িয়ে ‘ট্রফি’র মতো প্রদর্শন করা হয়েছে।”

উইন্ডফিল্ড বিভার আরও দাবি করেন, থুনবার্গের সঙ্গে “ভয়াবহ আচরণ” করা হয়, এবং সেটিকে প্রচারণার কাজে ব্যবহার করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, “যখন ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইটামার বেন-গভির ঢুকছিলেন, তখন গ্রেটাকে জোর করে এক ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়।”

তুর্কি টিভি উপস্থাপক ইকবাল গুরপিনার বলেন, “তারা আমাদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করেছে। তিন দিন আমাদের পানি বা খাবার কিছুই দেয়নি। আমরা বাধ্য হয়ে টয়লেটের পানি পান করেছি। প্রচণ্ড গরমে আমরা সবাই পুড়ে যাচ্ছিলাম।”

গুরপিনার আরও জানান, এই অভিজ্ঞতা তাঁকে গাজার মানুষের কষ্ট আরও গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে।

এর আগে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা “সুমুদ ফ্লোটিলা”-র ৪০টি নৌকা ও ৪৫০ জনেরও বেশি আন্তর্জাতিক কর্মীকে আটক করে ইসরায়েল। বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে তেল আবিব জানায়, আটক বাকিদেরও দ্রুত ইউরোপে পাঠানো হবে।