ঢাকা, রবিবার, অক্টোবর ৫, ২০২৫ | ২০ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

জায় নতুন গণহত্যা, বিশ্বজুড়ে জেগে উঠছে বিবেক—ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল পৃথিবী!


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৫ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:১০ পিএম

জায় নতুন গণহত্যা, বিশ্বজুড়ে জেগে উঠছে বিবেক—ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল পৃথিবী!

গাজায় ইসরায়েলের হামলা থামাতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন, তবুও ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। সর্বশেষ হামলায় আরও ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত ১২টা থেকে দুপুর ১২টা ৪৫ পর্যন্ত গাজা সিটির আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ১১ জনের মরদেহ আনা হয়। এছাড়া আল-শিফা, আল-আওদা ও নাসের হাসপাতালেও নিহতদের মরদেহ পৌঁছায়।

এরই মধ্যে গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সর্বশেষ ত্রাণবাহী জাহাজটিও আটক করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার সকালে গাজার উপকূলে পৌঁছালে নৌযানটিতে ইসরায়েলি সেনারা জোর করে প্রবেশ করে। পুরো ঘটনাটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। তবে বাংলাদেশের আলোকচিত্রী ও সমাজকর্মী শহিদুল আলম জানিয়েছেন, তিনি ও তার দল মূল ফ্লোটিলা থেকে আলাদা পথে গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন।

শুক্রবার দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম বলেন,
“আমরা আলাদাভাবে যাচ্ছি। ইসরায়েল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সব জাহাজ আটক করেছে। কিন্তু আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ—গাজা পর্যন্ত পৌঁছব।”

তিনি জানান, তাদের জাহাজে ৯৬ জন যাত্রী, যার মধ্যে ৮২ জন গণমাধ্যমকর্মী ও চিকিৎসক রয়েছেন। তাদের সঙ্গে আরও আটটি ছোট নৌকা রয়েছে, যা বর্তমানে ইসরায়েলি নজরদারি এড়িয়ে এগিয়ে চলেছে।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) জানিয়েছে, গাজার উদ্দেশ্যে আরও ১১টি নতুন জাহাজ রওনা হয়েছে। এসব নৌকায় আছেন প্রায় ১০০ জন অধিকারকর্মী, যারা যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক।

আটক হওয়া শেষ জাহাজটির নাম ‘ম্যারিনেট’, এটি পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এবং এতে ছিলেন ৬ জন নাবিক। এর আগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েল পুরো ৪৪ জাহাজের ফ্লোটিলা বহর আটক করে এবং মানবাধিকারকর্মীদের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যায়। টাইমস অব ইসরায়েলের তথ্যমতে, সেখানে ৬০০ ইসরায়েলি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আটককৃতদের পরিচয় যাচাইয়ের পর তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তবে, আটক কর্মীরা অনশন আন্দোলন শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি টু ব্রেক দ্য সিজ অব গাজা।

এই ঘটনার পর ইউরোপ, তুরস্ক, দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
স্পেনের বার্সেলোনায় দোকানপাট ভাঙচুর, ইতালির মিলান ও রোমে বিশ্ববিদ্যালয় দখল, এবং তুরিনে রাস্তাব্লকসহ বিভিন্ন ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে ইউরোপ।

রোমে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ১,৬৭৭ জন নিহত গাজাবাসীর নাম উচ্চারণ করে ফ্ল্যাশ মব আয়োজন করেন।
ইতালির ট্রেড ইউনিয়নগুলো গাজা সমর্থনে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

একই সঙ্গে তুরস্ক, গ্রিস, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, কলম্বিয়া, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে এখন একটাই দাবি—“ফিলিস্তিনে রক্তপাত বন্ধ হোক, মানবতা জিতুক।”