ঢাকা, রবিবার, অক্টোবর ৫, ২০২৫ | ২০ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

ইয়েমেনের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে আতঙ্ক, বন্ধ হয়ে গেল ইসরাইলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়ন


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৫ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:১০ পিএম

ইয়েমেনের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে আতঙ্ক, বন্ধ হয়ে গেল ইসরাইলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়ন

ইয়েমেন থেকে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দিকে একটি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে, যার ফলে ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবে বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

রবিবার সকালে আরব ও ইসরাইলি গণমাধ্যমের বরাতে বার্তা সংস্থা মেহের জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে তারা ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত একটি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে।

হঠাৎ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় বেজে ওঠে সতর্কতা সাইরেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, বিমান চলাচল তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করা হয় এবং বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ইসরাইলের দাবি: ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল জানায়, দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে—ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, হামলার পর ইসরাইলের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ পশ্চিম তীরের কয়েকটি এলাকায় সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি।

৯১টি ক্ষেপণাস্ত্র, ৪১টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে ইয়েমেন
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ মার্চ থেকে—যখন গাজায় হামাসবিরোধী অভিযান আবার শুরু হয়—তখন থেকে হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি বাহিনী ইসরাইলের দিকে অন্তত ৯১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। একই সময়ে ৪১টি ড্রোনও পাঠানো হয়েছে ইসরাইলের দিকে।

এর আগেও, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হামাস-ইসরাইলের যুদ্ধবিরতির আগে ইয়েমেনি বাহিনী ইসরাইলের দিকে ৪০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।

ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান ইয়েমেনের
ইসরাইলের গাজায় ভয়াবহ সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ইয়েমেন প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়ে আসছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইয়েমেন একাধিকবার ইসরাইলবিরোধী অভিযানে অংশ নিয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরাইলের সামরিক ব্যস্ততা আরও বাড়িয়ে তুলবে, একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতের মাত্রাও আরও তীব্র করবে।