ঢাকা, রবিবার, অক্টোবর ৫, ২০২৫ | ২০ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

আমি ব্যর্থ হয়েছি, কিন্তু সেই ব্যর্থতাই জীবন দিয়েছে শান্তি ও শক্তির নতুন পরিচয়: বাঁধন


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৫ অক্টোবর, ২০২৫, ০৫:১০ পিএম

আমি ব্যর্থ হয়েছি, কিন্তু সেই ব্যর্থতাই জীবন দিয়েছে শান্তি ও শক্তির নতুন পরিচয়: বাঁধন

কখনো পরিবার, কখনো সমাজ—সবাই চেয়েছে তাকে নির্দিষ্ট ছাঁচে ঢালতে। কিন্তু বাঁধন ভেঙেছেন সেই ছাঁচ। হ্যাঁ, তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন ‘প্রত্যাশিত নারী’ হতে। অথচ সেই ব্যর্থতাকেই এখন মনে করছেন জীবনের বড় সাফল্য।

রবিবার (৫ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বাঁধন নিজেকে আখ্যায়িত করেছেন ‘সমাজের জন্য অস্বস্তিকর নারী’ হিসেবে। সেখানে খোলামেলা স্বীকার করেছেন নিজের ব্যর্থতার কথাও।

বাঁধন লিখেছেন, “আমি এমন একজন মেয়ে হতে চেয়েছিলাম, যে সবাইকে খুশি রাখবে। অনুগত, বাধ্য, শান্তভাবে মানিয়ে নেওয়া মেয়ে। কিন্তু আমি পারিনি। আমি ব্যর্থ হয়েছি। চেষ্টা করেছিলাম পরিবারের প্রত্যাশিত মেয়ে হতে, সমাজের বানানো ‘নারী’ হয়ে বাঁচতে। কিন্তু পারিনি। আর আজ, সেই ব্যর্থতার জন্যই আমি নিজেকে ধন্যবাদ জানাই।”

ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও লেখেন, “আমি অন্য কারো স্ক্রিপ্টে বাঁচার জন্য জন্মাইনি। আমার কথা হয়তো অনেকের কাছে অস্বস্তিকর, আমার কাজ হয়তো অনেকের স্বস্তি ভেঙে দেয়। আমি সহজ নই, কিন্তু নির্মমও নই। আমি কাউকে আঘাত করি না, অসম্মানও করি না—যদিও অনেকেই আমার প্রতি তা করে।”

কয়েক দিন পরই ৪২ বছরে পা দেবেন বাঁধন। বয়সের এই পর্যায়ে তিনি খুঁজে পেয়েছেন ভেতরের শান্তি। তার ভাষায়, “চল্লিশের পর আমি নিজের সঙ্গে শান্তিতে আছি। এখন আমি বাঁচি আমার মতো করে—স্বাধীনভাবে, সৎভাবে, বিনা ক্ষমাপ্রার্থনায়। কেউ কষ্ট পেলে উপেক্ষা করুক, ব্লক করুক, ঘৃণা করুক—আমার কিছু যায় আসে না। কারণ, যত মানুষ আমাকে অস্বস্তিতে ফেলে, তার চেয়েও অনেক বেশি মানুষ আমাকে ভালোবাসে, বোঝে, আমার সত্যে শক্তি খুঁজে পায়। আর সবচেয়ে বড় কথা—আমি নিজেকে ভালোবাসি।”

পোস্টের শেষ লাইনে উঠে এসেছে আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাসের দৃঢ় উক্তি, “আমি ভাঙা নই। আমি শুধু এমন এক পৃথিবীর কাছে অস্বস্তিকর, যে পৃথিবী এখনো আসল নারীকে ভয় পায়। ভালোবাসি তোমায়, আজমেরী হক বাঁধন। তুমি যে নারী হতে চেয়েছিলে, শেষ পর্যন্ত তুমি সেই নারীই হয়েছো।”