ঢাকা, সোমবার, অক্টোবর ৬, ২০২৫ | ২১ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

গাজা শান্তি আলোচনায় দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান ট্রাম্পের, সতর্ক করলেন রক্তপাতের ঝুঁকির বিষয়ে


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:১০ পিএম

গাজা শান্তি আলোচনায় দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান ট্রাম্পের, সতর্ক করলেন রক্তপাতের ঝুঁকির বিষয়ে

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে মধ্যস্থতাকারীদের তাগিদ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার মিশরের কায়রোতে শুরু হতে যাচ্ছে হামাস-ইসরায়েল শান্তিচুক্তি আলোচনা, আর তার আগেই এই আহ্বান জানান ট্রাম্প। খবর—বিবিসির।

এরই মধ্যে হামাসের প্রধান আলোচক খালিল আল-হায়া কাতার থেকে কায়রো পৌঁছেছেন। আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার কিছু অংশে সম্মতি জানালেও নিরস্ত্রীকরণ এবং ভবিষ্যতে গাজার প্রশাসনে ভূমিকা না রাখার মতো মূল দাবিগুলোতে এখনো মত দেয়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন,

“আলোচনাগুলো খুব সফলভাবে এগোচ্ছে। আমাকে জানানো হয়েছে, প্রথম ধাপ এই সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হবে। তাই সবাইকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

তিনি সতর্ক করে আরও বলেন,

“সময় এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—নয়তো ব্যাপক রক্তপাত ঘটবে।”

এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ট্রাম্প জানান, “খুব শিগগিরই বন্দি মুক্তি শুরু হবে।”

পরিকল্পনায় নমনীয়তার বিষয়ে তিনি বলেন,

“আমাদের কোনো নমনীয়তা দরকার নেই, কারণ প্রায় সবাই মূলত একমত হয়েছে। তবে কিছু পরিবর্তন আসবে।”

ট্রাম্প দাবি করেন,

“এটি ইসরায়েল, আরব বিশ্ব, মুসলিম বিশ্ব এবং পুরো বিশ্বের জন্যই একটি ঐতিহাসিক চুক্তি হবে।”

শুক্রবার হামাসের আংশিক সম্মতির পর ট্রাম্প ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে বললেও গাজায় হামলা অব্যাহত রয়েছে।

ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদরোসিয়ান জানান,

“গাজার কিছু এলাকায় বোমাবর্ষণ বন্ধ হয়েছে, কিন্তু এখনো কোনো যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে আত্মরক্ষার প্রয়োজনে পাল্টা হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি অভিযানে আরও ৬৫ জন নিহত হয়েছেন, ধসে পড়েছে বহু ভবন।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন,

“বন্দি মুক্তির প্রক্রিয়া সহজ করতে বোমাবর্ষণ বন্ধ করা জরুরি।”

যুক্তরাষ্ট্রের ২০ দফা পরিকল্পনায় যুদ্ধবিরতি ও ৪৮ জন বন্দি মুক্তির প্রস্তাব রয়েছে—যাদের মধ্যে মাত্র ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।