এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:১০ পিএম
ইন্দোনেশিয়ায় একটি ইসলামিক স্কুল ধসে পড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। দেশটির উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ সোমবার জানায়, এটি চলতি বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগগুলোর একটি। খবর দিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো শহরে আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল ধসে পড়লে শতাধিক শিক্ষার্থী ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে। অনেকেই গুরুতর আহত হন, আর বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রবিবার রাতভর উদ্ধারকাজ চলে। ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ধ্বংসস্তুপের প্রায় ৮০ শতাংশ পরিষ্কার করা হয়েছে। এতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মরদেহ ও দেহাংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
সংস্থার ডেপুটি বুদি ইরাওয়ান জানান, উদ্ধারকৃত মরদেহের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা গেছে এবং ১০৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও অন্তত ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবারের মধ্যেই তাদের খুঁজে বের করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বুদি বলেন, “এই ঘটনাটি চলতি বছরে একক ভবন ধসে সবচেয়ে বেশি হতাহতের উদাহরণ হয়ে থাকবে। ২০২৫ সালে অন্য কোনো দুর্যোগে এত প্রাণহানি ঘটেনি।”
একই সংবাদ সম্মেলনে অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তা ইউধি ব্রামান্ত্যো জানান, অতিরিক্ত পাঁচটি দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, যা মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, “আমরা আশা করছি আজই উদ্ধার অভিযান শেষ করতে পারব এবং মরদেহগুলো দ্রুত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করব।”
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, স্কুলটি সম্প্রতি নতুন একটি তলা নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল। শ্রেণিকক্ষ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এই নির্মাণ কাজ চললেও ভবনের ভিত্তি অতিরিক্ত চাপ নিতে না পারায় ধসের ঘটনা ঘটে।
ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ৪২ হাজার ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল বা ‘পেসানট্রেন’ রয়েছে। তবে এর মধ্যে মাত্র ৫০টির ভবন নির্মাণের অনুমোদন রয়েছে বলে জানিয়েছেন গণপূর্তমন্ত্রী ডোডি হ্যাংগোডো।
ধসে পড়া আল খোজিনি স্কুলটির ভবন নির্মাণের অনুমোদন ছিল কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।