ঢাকা, সোমবার, অক্টোবর ৬, ২০২৫ | ২১ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের ‘বড় রোডম্যাপ’ প্রকাশ করলেন ট্রাম্প, হামাস রাজি হলেই যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:১০ পিএম

গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের ‘বড় রোডম্যাপ’ প্রকাশ করলেন ট্রাম্প, হামাস রাজি হলেই যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত

গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া নিয়ে নিজের প্রস্তাবিত রোডম্যাপ (পথনকশা) প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এই রোডম্যাপে ট্রাম্প দেখিয়েছেন, কীভাবে এবং কোন সীমারেখা ধরে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সরে যাবে।

রবিবার ৫ অক্টোবর ইসরায়েলি গণমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরাইল-এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইসরায়েল ইতিমধ্যেই এই সীমারেখায় সম্মত হয়েছে এবং হামাস রাজি হলেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

তিনি লিখেছেন, “হামাস নিশ্চিত করলেই যুদ্ধবিরতি সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে। বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং আমরা গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতি নেব। এই চুক্তি আমাদের তিন হাজার বছরের এই বিপর্যয়ের অবসান ঘটাতে পারে।”

অন্য এক পোস্টে ট্রাম্প তেল আবিবে বন্দি বিনিময় চুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক গণবিক্ষোভের ছবি শেয়ার করেন। সেখানে একটি বিশাল ব্যানারে লেখা ছিল— ‘এখন না হলে আর কখনো নয়’।

রবিবার কাতার, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক, সৌদি আরব এবং মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতি দেন। সেখানে তারা হামাসের “প্রস্তুতিকে” স্বাগত জানান এবং ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক দায়িত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “গাজায় যুদ্ধের অবসান, জীবিত ও মৃত—সব বন্দির মুক্তি এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার আলোচনার তাৎক্ষণিক সূচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী হামাসের নেওয়া পদক্ষেপ ইতিবাচক।”

তবে এই সমঝোতা বাস্তবে কবে কার্যকর হবে, তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের রোডম্যাপে উল্লেখিত ধাপগুলো— যেমন ৪৮ জন বন্দির মুক্তি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া— এই শর্তগুলোতে হামাস সম্মত হবে কি না, তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী খবর আসছে।

গোটা পরিস্থিতি এখন নির্ভর করছে হামাসের পরবর্তী পদক্ষেপ ও ইসরায়েলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর।