ঢাকা, বুধবার, অক্টোবর ৮, ২০২৫ | ২২ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

৬৭ হাজার প্রাণ হারিয়েছে ফিলিস্তিনি, বিশ্বকে উপেক্ষা করে টিকে আছে তেল আবিবের যুদ্ধযন্ত্র


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৭ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:১০ পিএম

৬৭ হাজার প্রাণ হারিয়েছে ফিলিস্তিনি, বিশ্বকে উপেক্ষা করে টিকে আছে তেল আবিবের যুদ্ধযন্ত্র

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসন এখন তৃতীয় বছরে ঢুকেছে। এতদিনে ৬৭ হাজার ২০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে অনেক নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। বিশ্বজুড়ে এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়লেও তেল আবিব এখনও টিকে আছে—কারণ একাধিক দেশ ও প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করছে।

২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলের অস্ত্রের বড় অংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি থেকে। ইতালি ও যুক্তরাজ্যও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। ইউরোপ ও এশিয়ার অন্যান্য দেশ এবং ইসরায়েলের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প এই অস্ত্র সরবরাহ নেটওয়ার্ককে সচল রেখেছে। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু একটি বিস্তারিত প্রতিবেদনে দেখিয়েছে, কীভাবে দেশ ও কোম্পানিগুলো এখনও ইসরায়েলকে অস্ত্র জোগাচ্ছে।

ওয়াশিংটন ইসরায়েলের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী ও রাজনৈতিক মিত্র। গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের সময় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একাধিকবার ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা সিপ্রি জানিয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলের মোট অস্ত্র আমদানির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বছরে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিচ্ছে, যা ২০২৮ পর্যন্ত চলবে। এর বড় অংশ মার্কিন সামরিক সরঞ্জামে খরচ হয়, কিন্তু সরাসরি অস্ত্র সরবরাহও করা হচ্ছে। সংঘাতের প্রথম বছরেই অন্তত ৬ বিলিয়ন ডলারের গোলাবারুদ পাঠানো হয়েছে। অনুমোদিত চুক্তিসহ এই পরিমাণ ২২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।

সরবরাহের মধ্যে রয়েছে—অ্যাটাক হেলিকপ্টার, শহর এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনা করার যানবাহন, স্পেয়ার পার্টস ও ডেস্ট্রয়ারের জন্য ৭৫০ মিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালের শুরুতে কংগ্রেস দুটি নতুন চুক্তি অনুমোদন করেছে:
ইসরায়েল ইতিমধ্যেই পেয়েছে হাজার হাজার এজিএম–১১৪ হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র, স্মল ডায়ামিটার বোমা, এমকে–৮২ ও এমকে–৮৪ বোমা, জেডিএএম গাইডেন্স কিট, বিএলইউ-১০৯ বাংকার-বাস্টার বোমা, ফিউজ ও আর্টিলারি শেল। মাঠ পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাটারপিলার ডি–৯ বুলডোজার ব্যবহার হচ্ছে ঘরবাড়ি ধ্বংস ও ধ্বংসস্তূপ সরাতে। এছাড়া ইটান আর্মার্ড ভেহিকলের জন্য মার্কিন ইঞ্জিনও সরবরাহ করা হয়েছে।

সক্রিয় মার্কিন প্রতিরক্ষা জায়ান্টগুলো—বোয়িং, লকহিড মার্টিন, রেথিয়ন, নর্থথ্রপ গ্রুম্যান, হানিওয়েল, কলিন্স এয়ারোস্পেস, জিই অ্যাভিয়েশন, প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি, মুগ ও এল ৩ হ্যারিস। তারা ইসরায়েলকে ফাইটার জেট, গোলাবারুদ, বিমান প্রযুক্তি ও সহায়ক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।