ঢাকা, বুধবার, অক্টোবর ৮, ২০২৫ | ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

গাজা যুদ্ধের জ্বালানি যোগাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র! ইসরায়েলকে দিল ৩২ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৮ অক্টোবর, ২০২৫, ০৩:১০ পিএম

গাজা যুদ্ধের জ্বালানি যোগাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র! ইসরায়েলকে দিল ৩২ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলের প্রধান সমর্থক হিসেবে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক দুটি গবেষণায় দেখা গেছে, গত দুই বছরে জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন মিলে ইসরায়েলকে এবং মধ্যপ্রাচ্যের অভিযানে মোট ৩২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে—যা ছাড়া গাজার ওপর এই যুদ্ধ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হতো না।

ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওয়াটসন স্কুল অব পাবলিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স’-এর Cost of War প্রকল্পের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলকে সরাসরি দেওয়া সহায়তার পরিমাণ ২১.৭ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে প্রথম বছরে ১৭.৯ বিলিয়ন এবং দ্বিতীয় বছরে আরও ৩.৮ বিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়। এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা অভিযান পরিচালনায় আরও ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গবেষণায় বলা হয়েছে, এই বিশাল আর্থিক ও সামরিক সহায়তা ছাড়া ইসরায়েলের পক্ষে গাজায় এত বড় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। শুধু যুদ্ধের প্রথম ১০ দিনেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্তত পাঁচটি বড় অস্ত্র চালান পাঠানো হয় তেল আবিবে।

ইরানি সংবাদ সংস্থা ইরনা জানায়, বাইডেন প্রশাসন দুই দফায় কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই বিশেষ প্রেসিডেন্টীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে অস্ত্র বিক্রি করে। এর মধ্যে রয়েছে ১০৬.৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ১৪ হাজার ট্যাংক শেল এবং ১৪৭.৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বিভিন্ন আক্রমণাত্মক অস্ত্র।

তবে হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। গবেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলকে ভবিষ্যতে আরও কয়েক বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

এই সহায়তার পৃষ্ঠপোষকতায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। শহরজুড়ে ধ্বংসস্তূপ, দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে।

জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির আহ্বান, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের নির্দেশনা ও বিশ্বব্যাপী নিন্দা সত্ত্বেও তেল আবিব গাজার ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল বলছে, এটি কার্যত গণহত্যার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।