ঢাকা, বুধবার, অক্টোবর ৮, ২০২৫ | ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

দুই দশক পরেও মনের কথা বলার মানুষ খুঁজে পান না দেব, জানালেন তার আধ্যাত্মিক জীবন


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৮ অক্টোবর, ২০২৫, ০৪:১০ পিএম

দুই দশক পরেও মনের কথা বলার মানুষ খুঁজে পান না দেব, জানালেন তার আধ্যাত্মিক জীবন

ভারতের বাংলা সিনেমার হার্টথ্রব দেব। প্রায় দুই দশক ধরে টলিউডে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সফলতা পেয়েছেন, তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য। তবে এই সফলতা সহজে আসেনি; দীর্ঘ সংগ্রামের গল্প লুকিয়ে আছে তার জীবনে।

একটি ভারতীয় গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে দেব জানান, মানুষের সঙ্গে লড়াই শুধু কাজের জন্য নয়, মানসিকভাবেও চলছে। তিনি বলেন, “নিজের বন্ধুদের সঙ্গেও যুদ্ধ করতে হয়, বিশেষত মানসিকভাবে। সিনেমা তৈরি করা সহজ, কিন্তু প্রচার ও মুক্তি দেওয়া কঠিন।”

দেব জানালেন, এই লড়াইয়ে তার আধ্যাত্মিক শক্তি আসে ‘বড়মা’র কাছ থেকে। তিনি বলেন, “আমি আগে তারাপীঠে যেতাম। ‘খোকাবাবু’ বা অন্যান্য সিনেমার সময় শুভশ্রীও আমার সঙ্গে যেত। একটি বড় দল ছিল আমাদের, প্রায়ই তারাপীঠে যেতাম। অনেকবার দক্ষিণেশ্বরেও গিয়েছি। কোথাও গিয়ে মাথা নিচু করতে হয়, মনের কথা বলতে হয়। আমার মনের কথা বলার লোক খুব কম। যদি কাউকে বলি, হয়তো তারও মন খারাপ হবে। মা-বাবাকেও বলাই কঠিন। তখনই ছুটে যাই মায়ের কাছে। মা কালী আমাকে টানেন। আমাদের বাড়িতেও পূজাপাঠের চল আছে; স্নান না করে কেউ বের হয় না।”

সাফল্যের পরও মনের কথা বলার মানুষ কমে না, তবে দেব বলেন, “আবেগটা কখনও বিক্রি করা হয়; কেউ নিজের গুরুত্ব বাড়াতে পারে। কে কোথায় আমাকে ব্যবহার করবে, তা বোঝা কঠিন।”

জীবনের এই পর্যায়ে দেবের ভয়, “এক দিন সব চলে যাবে—যশ, খ্যাতি, মানুষের ভালোবাসা। সেই সময় যেন দেরিতে আসে, নিজেকে ধরে রাখতে চাই।” তিনি আরও জানান, “আমি এখন যে অবস্থানে আছি, তার উপরে আর যাওয়ার জায়গা নেই। সেখানে থেকে পড়লে জোরে লাগবে। পূজার এক দিন কাটতেই ‘রঘু ডাকাত’-এর প্রচারে নামতে হবে। তবে যারা আসবে, তাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে আমাকে ফেলার জন্য।”

দেবের টলিউড যাত্রা শুরু হয় ২০০৬ সালে ‘অগ্নিশপথ’ সিনেমার মাধ্যমে। যদিও এটি বক্স অফিসে সফল হয়নি, ২০০৭ সালে ‘আই লাভ ইউ’ সিনেমা তার ক্যারিয়ার বদলে দেয়। অভিনয়ের আগে দেব মুম্বাইয়ে বাবার সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন এবং কলেজে পড়ার সময় বাবাকে সাহায্য করতেন। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের জগতকে কাছ থেকে দেখে তিনি শাহরুখ খানের মতো হয়ে উঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন।