এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর, ২০২৫, ০৪:১০ পিএম
১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি নায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা জসিম না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। আজ তার ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাকশন হিরো—সিনেমার পর্দায় যেমন সাহস দেখিয়েছেন, বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন সত্যিকারের যোদ্ধা।
নায়ক জসিম কেবল একজন অভিনেতা নন, তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে অ্যাকশন ধারার এক নতুন যুগের সূচনাকারী। তার নামে এফডিসিতে রয়েছে ‘মুক্তিযোদ্ধা চিত্রনায়ক জসীম ফ্লোর’। কারণ সিনেমার বাইরেও তার পরিচয় গর্বের—১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ২ নম্বর সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ‘দেবর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। তবে সিনেমায় তার যাত্রা শুরু হয় আরও আগে—একজন এক্সট্রা আর্টিস্ট হিসেবে। নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন সেই সংগ্রামের গল্প। সেই সাধারণ শুরু থেকে তিনি হয়ে ওঠেন ঢালিউডের প্রথম অ্যাকশন হিরো।
খলনায়ক থেকে নায়ক—দুই ভূমিকাতেই জসিম ছিলেন অনন্য। খলচরিত্রে অভিনয় করেছেন ৭০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে, আর নায়ক হিসেবে ১২০টিরও বেশি সিনেমায়।
জসিম অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো—‘দেবর’, ‘রংবাজ’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘কাজের বেটি রহিমা’, ‘মহেশখালির বাঁকে’, ‘বারুদ’, ‘বদলা’, ‘কসাই’, ‘বাহাদুর’, ‘এক মুঠো ভাত’, ‘দি রেইন’, ‘কুয়াশা’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘ভাই আমার ভাই’, ‘মাস্তান রাজা’, ‘স্বামী কেন আসামি’ প্রভৃতি।
ব্যক্তিগত জীবনে জসিমের প্রথম স্ত্রী ছিলেন চিত্রনায়িকা সুচরিতা। পরে বিয়ে করেন নাসরিনকে। তিন ছেলে—এ কে সামি, এ কে রাতুল ও এ কে রাহুলকে রেখে তিনি বিদায় নেন দুনিয়া থেকে। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, গত ২৭ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জসিমের মেজ ছেলে, সংগীতশিল্পী ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এ কে রাতুল।
o